নীলফামারীর জলঢাকায় সেতু সংস্কারের কাজ না হাওয়ায় এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগে !
রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদক:
নীলফামারীর জলঢাকায় গত চার বছর আগে বন্যায় হেলেপড়া সেতুটি আজও সংস্কার ও মেরামত না করার ফলে চলাচলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা দ্রুত সেতুটি মেরামত ও সংস্কার করার দাবী জানান।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের ১ নং ডাউয়াবারী চরভরট ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ইউনিয়ন অফিস ও বাজার ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি।
আর চলাচল অনুপযোগী সেতুটি রয়েছে এই সড়কে। গত ২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট বন্যার পানির তোরে সেতুটি হেলে পড়লে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরেও মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে। বর্তমান পর্যন্ত সেতু টির সংস্কার মেরামত হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল জানান,আমাদের স্থানীয় নেকবক্ত ও উপজেলা বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। আর এ-ই সড়কের উপর নির্মিত সেতুটি ত্রানের টাকায় নির্মিত হয় ২০১৭ সালে। সেসময় বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এবং সড়ক ও সেতু চলাচল উপযোগী করতে এলাকাবাসী সাহায্য সহযোগিতায় বালু ফেলে ও বাঁশের সেতু নির্মান করা হয়। সেই বালুও গতবারের বন্যায় ও বর্ষায় নষ্ট হয়ে সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমান বাঁশের সেতুটিও ঝুকিপূর্ণ।
তারা বর্ষা ও শুস্ক মৌসুমে বিকল্প পথে দুই কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করেন। এ-ই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। তাই সেতুটি মেরামতের দাবী জানান।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান খোকন জানান, সেতুটি হেলে পড়ার দিনই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান ও প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ কে জানানো হয়েছিল ।সেই সময় তারা উধর্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো সহ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও সংস্কারের কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক জানান, গত ২০১৫ – ১৬ অর্থ বছরে ত্রানের ১২ লাখ টাকায় এ সেতু নির্মান কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে কাজ শেষ হয়। এবং বন্যার পানিতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল।
এলাকাবাসীর দাবী সেতুটি দ্রুত মেরামত করা হউক।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..