নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২৩ নভেম্বর ভোর ০৪: ৫৩ মিনিটে রাওয়া ভবন, মহাখালী এর সামনের রাস্তায় ঢাকা মেট্রো ঘ -১৩-৩৯৭৯ নম্বরের জিপ গাড়ি আইল্যান্ডের সাথে ধাক্কা লেগে এই দূর্ঘটনা ঘটে এবং ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। মূলত সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহম্মেদের ছেলের মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারনেই দূর্ঘটনা ঘটে।
উক্ত গাড়ীতে মোট সাত জন যাত্রী ছিল । তার মধ্যে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।দূর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন ১।ফাহমিদ আহম্মেদ রাইয়ান (১৯),পিতা মৃত- ইলিয়াস আহম্মেদ, বাড়ী- ১৭, রোড নং- ০৭, নিকুঞ্জ -১, খিলক্ষেত, ঢাকা, গ্রাম – ছাগলনাইয়া, থানা- ফেনী সদর , জেলা- ফেনী এবং ২। মোঃ ওমর আয়মান (২০) , পিতা- কর্নেল অবঃ ওমর ফারুক, মাতা- শাহজাদি নাসিমা, বাসা নং-৪৩/ই, রোড- ০৮, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, থানা- ভাষানটেক।দুর্ঘটনার সময় সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ছেলে স্বাদিন আহমেদ গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং ঐ সময় তার সাথে মদ্যপ অবস্থায় তার দুইজন তথাকথিত মেয়ে বান্ধবী রাইসা এবং দিয়া ছিল।
সুত্রমতে, সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহম্মেদের বখাটে ছেলে স্বাদিন আহমেদ নেশাআসক্ত, নিয়মিত মদ্যপান ও উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন।মদ্যপায়ী ০৫ জন বন্ধু ও ০২ জন বান্ধবীসহ মাতাল অবস্থায় ভোর ০৪:৫৩ মিনিটে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর সময় তার জিপ গাড়িটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পতিত হয় । বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত সিসি টিভি ফুটেজে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
আজিজ আহমদের ২য় স্ত্রীর একমাত্র ছেলে স্বাদিন । পিতা মাতার অতি আদরে বখে যাওয়া এই সন্তান পিতার চাকরিকালে মূর্তমান আতংক হিসেবে সেনানিবাস এবং সেনানিবাসের বাইরের এলাকায় সুপরিচিত ছিল ।স্বাদিন মুলত তার বাবা সাবেক সেনাপ্রধানের আস্কারাতেই বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।রাজধানীর গুলশান ও বনানীর বিভিন্ন নাইট ক্লাবে মিড নাইট পার্টি উদযাপন, মেয়ে আসক্তি, মাদক সেবন সহ, নিষিদ্ধ অসামাজিক নৈশ জীবনে ছিল স্বাদিনের অবাধ বিচরণ। সাবেক সেনাপ্রধানের ছেলে পিতার ক্ষমতায় সেনানিবাস এলাকায়ও উশৃংখল জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিল। সে নিত্য নতুন কিশোর গ্যাং তৈরি এবং উক্ত গ্যাং এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী , চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিল বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নিকট অনেক তথ্য প্রমান রয়েছে। ছোট ছেলের বেপরোয়া জীবন যাপন সম্পর্কে সকলে জানলেও সাবেক সেনাপ্রধানের ছেলের পরিচয়ে কেউ তৎকালীন মুখ খুলেনি। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি দুঘটনায় ২ জনের প্রাণহানির সর্ম্পূণ দায়ভার সাবেক সেনাপ্রধানের এই উশৃঙ্খল ছেলের বলে দাবি করেছেন অনেক ভূক্তভোগী। তারা এর সুষ্ঠূ বিচার দাবি করছেন। তার বিরুদ্ধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আরও বেপরোয়া কিশোর এই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন।