স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছেন, প্রায় একবছর ধরে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কোন ইজারা ছাড়াই দৈনিক ৫০টি ড্রেজার মেশিনে উত্তোলিত বালু ১৫০ ট্রলারে বহন করে থাকে। ওইদিন নবগঙ্গা নদীর দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকায় দুই পারে প্রায় ৩০টির বেশী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে এবং প্রায় ১০০টি বালুবাহী জাহাজ বালু বহন করছে। ঘাটের পাড়ের রাস্তাসহ ফসলি জমি নদীর মধ্যে বিলীন হতে শুরু করেছে।
উপজেলার নোয়াগ্রামের বাসিন্দা আসলাম, জহির মোল্যা ও ইলিয়াজ মোল্যা জানান, নবগঙ্গা নদী থেকে বিরতিহীন ভাবে ১ বছরেরও বেশী সময় ধরে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে তাদের গ্রামের একটি বাজার, ৩টি মসজিদ, ১টি মন্দির সহ কয়েক একর ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের লিটন সর্দার অভিযোগ করে বলেছেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্দসহ নদীর ভাঙ্গন থেকে জনপদকে রক্ষার জন্য তারা স্থানীয প্রশাসনের কাছে কয়েক বার লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসিকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনুর মোহাম্মাদ আনু বলেন, স্থানীয় প্রবাবশালী মহল বালু উত্তোলন করে কোটি টাকা আয় করছে। আর নদীর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পাশাপশি নদীতে যাচ্ছে জনপদ ও ফসলী জমি। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি তাতে আকৃষ্ট হয়নি। তাই জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে সাধারন জনগণ নদী থেকে ড্রেজার তাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
যুবলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম খান অবৈধ বালু উত্তোলনের সত্যতা অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়াডাঙ্গা বালু মহালটি বৈধ ভাবে ইজারা নিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া নির্দ্ধারিত সীমানার মধ্য থেকেই তিনি বালু উত্তোলন করছেন।
Leave a Reply