
নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলে গৃহবধু আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের উত্তরলংকারচর গ্রামের বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী লোকমান বিশ্বাস ওরফে আসমানের স্ত্রী মনিরা বেগম আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি আকিদুর শেখ (৩৫) প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে।
মামলা দায়েরের পর দু’মাস অতিবাহিত হলেও জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন । পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উত্তরলংকারচর গ্রামের মনি শেখের ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার আকিদুর শেখ দুবাই প্রবাসী মো: লোকমান বিশ্বাস ওরফে আসমানের স্ত্রী মনিরা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। আকিদুর তার পরকীয়া প্রেমিকা মনিরার নগ্নছবি বøাকমেইল করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে
প্রায় ১০লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।টাকা হাতিয়ে নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি আকিদুর। তার কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য নিয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি গভীর রাতে আকিদুর তার দু’সহযোগীকে নিয়ে গৃহবধূ মনিরার ঘরে প্রবেশ করে জোর
পূর্বক অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। মনিরা এতে বাঁধা দিলে আকিদুর ও তার দু’সহযোগী মহিনুর ও শওকত মোল্যা মিলে ওই গৃহবধূকে বেদম মারপিট করে। গৃহবধূ মনিরার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে লম্পট আকিদুর ও
তার দু’সহযোগী দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিদের ধাওয়ায় দৌঁড়ে পালানোর সময় তারা দুটি মোবাইল ফোন ফেলে রেখে যায়।গ্রাম্য ডাক্তার আকিদুর ও তার দু’সহযোগীর অনৈতিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে অপমানে লোকলজ্জার ভয়ে গৃহবধূ
মনিরা ওই ঘটনার পরদিন ১মার্চ সকালে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়েপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামিদের দু’টি, মনিরার একটি মোবাইল ফোন জব্দ করে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে
প্রেরণ করে। নিহত গৃহবধূ মনিরার স্বামী লোকমান বিশ্বাস ওরফে আসমান বিদেশ থেকে ঘটনা শুনে দেশের বাড়ি চলে আসেন।বাড়ি আসার পর লোকমান বিশ্বাস ওরফে আসমান বাদী হয়ে গত ২৮জুন তিনজনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় দায়ের করেন।পুলিশ মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর পর্নোগ্রাফি আইন এবং আত্মহত্যা প্ররোচনা ও সহায়তা করার অপরাধের ধারায় মামলাটি রেকর্ড করে। মামলা দায়েরের পর ওইদিন পুলিশ এজাহার নামীয় দু’নম্বর আসামি মহিনুরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।মামলা দায়েরের পর দু’মাস অতিবাহিত হলেও মামলার প্রধান আসামি আকিদুরকে এবং অপর আসামি শওকত মোল্যাকে গ্রেফতারে পুলিশ নানা টালবাহানা করছে।আকিদুল ও অপর আসামি এলাকায়
প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং বাদীকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: সাফাত রহমান বলেন,মামলাটির তদন্ত চলছে।গৃহবধূ মনিরা বেগম আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার প্রধান আসামিকে দ্রত গ্রেফতারের জন্য বাদী ও নিহতের স্বজনরা নড়াইল পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply