নড়াইল এর লোহাগড়ায় দুইমাস আগে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেলন নড়াইলের ডিবি পুলিশের এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস।
যানা জাই গত ইং ০৩/০৫/২০২০ তারিখ রাত অনুমানিক দুইটার দিকে লোহাগড়া হাসপাতালের ডাঃ ফাতেমা জান্নাতি উর্মির বাসা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়।এরপরে লোহাগড়া থানায় এই সংক্রান্ত ইং ০৩/০৫/২০২০ তারিখ একটি সাধারন ডাইরী হয়। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, পরবর্তীতে নড়াইল ডিবি পুলিশ এস আই মিলটন কুমার দেবদাস এর প্রচেষ্টায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৪ জুলাই মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।এবং চোর মো: তরিকুল ইসলাম (২৫), পিং-সিদ্দিক, সাং-গোপীনাথপুর ব্যাপারীপাড়া,থানা-লোহাগড়া,জেলা-নড়াইল কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..
[…] নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ […]
[…] উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ পাট জাগ দেওয়ায় ওপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীর পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। স্বচ্ছ, টলটলে নবগঙ্গা নদীর পানি দূষিত হয়ে কালো রঙ ধারন করেছে। ফলে, নদী তীরবর্তী এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। পানি পচে যাওয়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছ আধমরা অবস্থায় ভেসে উঠছে। এ সব আধমরা মাছ ধরার জন্য জেলেদের পাশাপাশি বহু লোক রাত-দিন কোচ নিয়ে নদীর এপাড়-ওপাড় চষে বেড়াচ্ছেন। এক সময় নড়াইলের লোহাগড়ার পাটচাষিরা খাল-বিল, ডোবা-নালায় পাট জাগ দিতেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাল-বিল, ডোবা-নালায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে, চাষিরা বাধ্য হয়ে নবগঙ্গা নদীতে পাট জাগ দিচ্ছেন। এই কারণে পানি দূষিত হয়ে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নদীর পানি পচে যাওয়ায় কেউই নদীতে গোসল করছেন না। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর লোহাগড়ায় ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে। পাট চাষ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় এ বছর লোহাগড়ায় পাটের ফলন আশানুরূপ হয়নি। এ অঞ্চলের পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা কাটা পাট নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। অনেক চাষি পানির অভাবে জমি থেকে পাট কাটছেন না। ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খাল-বিল, ডোবা-নালায় পানি নেই বললেই চলে। অধিকাংশ চাষি তাই বাধ্য হয়েই নবগঙ্গা নদীতে পাট জাগ দিচ্ছেন। সরেজমিন দেখা যায়, নবগঙ্গা নদীর প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে পাট জাগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নলদী ত্রিমোহনা থেকে লুটিয়া এলাকা পর্যন্ত নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। পানি পচে দুর্গন্ধময় হয়ে পড়েছে। ফলে তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। অপর দিকে, দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ আধমরা অবস্থায় ভেসে উঠছে। ‘নবগঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের’ নেতা সাংবাদিক রেজাউল করিম বলেন, কৃষকের অসচেতনতা এবং কৃষি বিভাগের উদাসীনতায় নবগঙ্গা দূষণের কবলে পড়েছে। দূষণরোধে এলাকাবাসীকে সচেতন হতে হবে। নবগঙ্গা নদীতে পাট জাগ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, পাট যেহেতু অর্থকরী ফসল, সেহেতু তা নষ্ট করা যাবে না। রিবন রেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে কৃষকরা সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, নদী দূষণ বন্ধে আপাতত কৃষি বিভাগের কোনো নির্দেশনা নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুলকুমার মৈত্র বলেন, নদীতে পাটজাগ বন্ধে সরকারিভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। […]