পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে ঘাস খাওয়ানো শেষে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বাঘের হামলার শিকার হয়েছেন কাওছার আলী (২২) নামে এক কৃষক। এসময় ওই কৃষক কোনো মতে পালিয়ে গেলেও সঙ্গে থাকা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দামের গরুটি নিয়ে যায় বাঘ।
বাঘের আক্রমণে গরু নিয়ে যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে আতঙ্কিত হয়ে চাঞ্চল্যতা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।
বুধবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের মুহুরীজোত গ্রামের দক্ষিণে পরিত্যক্ত একটি চা বাগানে বাঘের আক্রমণের শিকার হয় ওই কৃষক। কৃষকের হাত থেকে গরুটি ছিনিয়ে নিয়ে বাগানের ভেতর চলে যায় বাঘটি। বাঘের হামলার শিকার কাওছার আলী পার্শ্ববর্তী গ্রাম উষা পাড়ার আব্দুল কালামের ছেলে।
কাওছার গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের গ্রামটি সীমান্তবর্তী ও এলাকাজুড়ে ঘন বন-জঙ্গল থাকায় সহজেই ভারতীয় বাঘ চলে আসে। বুধবার সন্ধ্যায় আমার গরুটিকে মাঠ থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বাঘটি জঙ্গল থেকে বের হয়ে গরুটির উপর হামলা চালায়। আমি কোনো মতে সেখান থেকে পালিয়ে স্থানীয় লোকজনকে ডাকি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, এ ব্যাপারে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি। আজ সেই বাঘের থাবায় একটি গরু খোয়া গেছে। কৃষকের হাত থেকে গরুটি কেড়ে নিয়ে বাগানের ভেতর যাওয়ার পরে ওই কৃষক নিজেই আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসেন। পরে স্থানীয়দের নিয়ে গরুটি উদ্ধারের চেষ্টা করেন কিন্তু এর আগেই বাঘের আক্রমণে গরুটি মারা যায়।
এদিকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান সামাজিক বন বিভাগের কর্মীরা, পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ, স্থানীয় সমাজসেবক জনপ্রতিনিধি ও আশপাশের হাজার হাজার গ্রামবাসী। তাই সন্ধ্যা নামার পর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে বন বিভাগ বাঘের আক্রমণ থেকে বাঁচতে গ্রামে গ্রামে মাইকিং শুরু করে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বন বিভাগের সদর বিট অফিসার সুলতান মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বন বিভাগ কর্তৃক ওই গ্রামের আশপাশসহ গ্রামে গ্রামে জরুরি মাইকিং চলছে। সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর বাঘটিকে আটক করার ব্যবস্থা করছি। আজ বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দিনাজপুর বন বিভাগ থেকে বাঘ শিকারি আনা হবে।