দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে,আর মাত্র ক’টা দিন বাকী এরই সরগরম চট্টগ্রাম -১২ পটিয়া আসন, ঘাত প্রতিঘাত সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে ভোটের মাঠ। রাত বিরাত প্রচার প্রচারনার সাথে চলছে হামলা ভাংচুর, গুলি বর্ষন, প্রার্থীর অফিসে আগুন,পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের সহ বিভিন্ন উপায়ে নিজ নিজ শক্তি প্রদর্শনী।
এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে চ্যালেঞ্জিং ভাবে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন পটিয়ার অভিভাবক, তিন তিনবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। ভোটের দিন যত গনিয়ে আসছে তত বেশী উত্তাপ উত্তেজনা সহিংসতা যেন বেড়েই চলেছে। নৌকা ও স্বতন্ত্র সমর্থকদের মধ্যে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে, এমতাবস্থায় পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে এ আসনটিতে যে কোন বিরুপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক র ্যাব ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসকল ঘটনার বিষয়ে দুই প্রার্থী নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি,রিটার্নিং অফিসার সহ নির্বাচনী উর্ধ্বতন কর্মকতার কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সহিংসতার ঘটনায় পটিয়া থানায় ৪টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তৎমধ্যে ঈগল প্রতীকের ৩টি ও নৌকা প্রতীকের পক্ষে ১টি মামলা রেকর্ড হয় বলে সুত্রে প্রকাশ। সর্বশেষ গত শনিবার ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর গাড়ী বহরে গুলি, গাড়ী ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এমপি’র বোন সহ ২৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় মামলা করা হলে, শনিবার গভীর রাতে ডিবি পুলিশ নৌকা সমর্থিত আওয়ামিলীগ নেতা প্রজ্ঞাজ্যোতি বড়ুয়া লিটন,নাসিফ ইকবাল, মেজবাহ উদ্দিন, মঈনুদ্দিন মনিরকে গ্রেফতার করেন। অন্যদিকে উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন ছালেহ্ ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন নৌকা প্রতীকের একটি অফিস কক্ষে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনকে দায়ী করছেন।
জানা যায়, দুই প্রার্থীর নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে দায়ের কৃত পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সত্যতা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন প্রশাসন।
সামশুল হক চৌধুরীর ভাগিনা লোকমান খান জানান, ইনশাআল্লাহ প্রচার প্রচারনায় ঈগল বহুদুর এগিয়ে রযেছে। আমরা সাধারন ভোটারদের মনের মধ্যে স্থান করে নিতে পেরেছি বলে নৌকা প্রতীকের সমর্থক গন মরিয়া হয়ে আমাদের গাড়ী ভাংচুর হামলা করছে। নির্বাচনী প্রচারনা শুরু থেকেই নৌকার কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন ভাবে তাদের বাঁধা দিচ্ছেন। লাঠিসোটা ও দেশীয় তৈরী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তাদের কর্মী সমর্থকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে পটিয়াতে সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়, জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারন করবে বলেও তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।