চট্টগ্রাম -১২ পটিয়া আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী সহিংসতা চরম আকার ধারন করেছে। চট্টগ্রাম ১২ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গাড়ী বহরে দু দফা হামলা, গুলি বর্ষন সহ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় শান্তির হাট মাদ্রাসা গেইটে নৌকা প্রতীকের মোতাহেরুল ইসলামের সমর্থনদের প্রথম দফা এই হামলার ঘটনায় এক নারী নেত্রী ও এমপি সামশুল হক চৌধুরীর ভাই ফজলুল হক চৌধুরী সহ ৫ জন আহত হন। একই দিন সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে মাহমুদ নগর এলাকায় , এসময় সামশুল হক চৌধুরীর গাড়ী বহর লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়, ভাংচুর করা হয় নির্বাচনী প্রচারনায় নিয়োজিত ৬ টি গাড়ী। এসময় সামশুল হকের কর্মী মুহাম্মদ মনির ও ইদ্রিস সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং এমপি’র বোন রেখা চৌধুরী সহ অনুমান ২০ জন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তম্মধ্যে ৫ জনকে গুরুতর অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় এমপি’র এক ভাইকে কান ধরে উঠবস সহ বোনকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তবে হামলাকারীরা নৌকার কেউ নন বলে দাবী করে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোতাহেরুল ইসলামের প্রধান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ ক ম শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, কে বা কারা হামলা করেছে তা তিনি জানেন না।
এব্যাপারে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, নৌকার প্রার্থী দল ও সিইসিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন এভাবে চলতে থাকলে সুস্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয় তারা মুলত ঈগলের জয়জয়কার দেখে সাধারন ভোটারদের মধ্যে ভয় ভীতি প্রদর্শন করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আমার ভোটার, নেতাকর্মী সমর্থকগন এখন শান্ত ও ধৈর্য্য ধরে রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সোলাইমান জানান ঘটনার সময় আমাদের পুলিশের সংখ্যা খুবি নগন্য ছিল যার কারনে এমন ঘটনা সম্ভব হয়েছে। পটিয়া সার্কলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন, ঘটনার আকষ্মিকায়,আর পুলিশের স্বল্পতার কারনে ঈগলের প্রচারনা কালে এই হামলার ঘটনা ঘটে, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি, এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব