শহিদুল ইসলাম পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ঃ
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের তানভীর আহমেদকে গত বুধবার ১১ নভেম্বর ২০২০ পটুয়াখালী মুসলিম পাড়ায় তানভীরের প্রেমিকার বাসায় বসে তানভীরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে পটুয়াখালী উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের খাটাশিয়া বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচী ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছেন বড় বিঘাই ইউনিয়নের এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১০ টার সময় খাটাশিয়া বাজারে সতে সতে মানুষের অংশগ্রহণে তানভীর আহমেদ কে নৃশংসভাবে হত্যার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন তানভীরের মা মোসাঃ হারিসা বেগম, বড় বোন মোসাঃ নিপা আক্তার, ও ইউপি সদস্য মোসাঃ খাদিজা বেগম, মোঃ আসাদুজ্জামান খলিল, সিকদার, ক্বারী মোঃ হুসাইন।
বক্তব্য প্রদান কালে তানভীর আহমেদের মা ও বড় বোন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, তানভীর তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি, তার উপার্জন দিয়েই সংসার চলতো। তানভীরের বাবা প্যারালাইজড অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন, তাদের ছেলেকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। অন্য বক্তারা বলেন তানভীরের হত্যাকারীদের এমন বিচার করা হোক যাতে অন্য কোনো মাকে সন্তানহারা না হতে হয়।
পটুয়াখালী পৌর শহরের মুসলিমপাড়া এলাকায় ১১ নভেম্বর ২০২০ তারিখ বুধবার সন্ধ্যায় তানভীর আহমেদ নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। জানাজায়, মৃত তানভীর আহমেদ পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড়বিঘাই এলাকার মোঃ নুরুল হক মাস্টারের ছেলে। প্রায় দেড় বছর ধরে তানভীর আহমেদের সাথে পটুয়াখালী সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী মারিয়ার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।
বিষয়টি ঘনিষ্ঠতার সুবাদে উভয়ের উভয়ের পরিবারের মধ্যে প্রকাশ পায়। এই সুযোগে তানভীর প্রায়ই প্রেমিকার বাসায় আসা যাওয়া করতো। মঙ্গলবার বিকালে তানভীর রহমান তার প্রেমিকার বাসায় আসে। বুধবার দুপুরে প্রেমিকার বাবা দোতলায় গিয়ে তানভীরকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখেন। পরে সন্ধ্যায় স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে তানভীর রহমানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।