নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তম দিনের মতো বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে ফেরি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও হাজার হাজার যাত্রী।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই লঞ্চ ও স্পিডবোটে পারাপার হচ্ছেন। ঘাটে ১৩ দিন ধরে আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাকও। আটকাপড়া ট্রাকের লোকজন দিনের পর দিন মানবেতর দিনাতিপাত করছেন।
এদিকে নাব্য সংকট নিরসনে লৌহজং টার্নিং ও পদ্মা সেতুর ২৬ থেকে ২৪ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত ড্রেজিং চলছে। তবে কবে নাগাদ ফেরি সচল হবে তা এখনো নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ছাইদুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু এখনো পুরো নাব্য ফিরেনি। পদ্মা সেতুর কাছে অনেক স্রোত, সেখানেই এখন ড্রেজিং চলছে বেশি।
এদিকে দীর্ঘ ৭দিন ধরে শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ি বন্ধ থাকায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট বিকল্প হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ঘাট এলাকায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, নাব্য সংকটের কারণে দীর্ঘ ৭ দিন ধরে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার বিকল্প হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। এতে দেখা দিয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এছাড়াও রাতের দিকে এ নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে বড় চারটি ফেরি স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়ায় ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার পর থেকে পরিবহনের চাপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মুহূর্তে উভয় ঘাট এলাকায় সহস্রাধিক যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে। বাস, ছোট যানবাহন ও অ্যাম্বুলেসকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত যানবাহন সামাল দিতে ঘাট থেকে সাত কি. মি. দূরে উথুলী সংযোগ মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক সারিবদ্ধ করে রাখছে কর্তৃপক্ষ। পণ্যবাহী ট্রাক বেশি জমে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের শ্রমিকরা।