1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
“বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন এস আই আল মামুন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে – ভুক্তভোগী সজল কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ৭ই মার্চ সাংবাদিক নয়নের উপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে মানববন্ধন  নওগাঁর সাপাহারে ৫৯ জন ভূয়া দাখিল পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিরুদ্ধে মামলা ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : মোঃ লিটন মাদবর বিল্লাল  ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : আনোয়ার হোসেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্বরনে শ্রদ্ধাঞ্জলি : হাসান মন্ডল 

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩, ৪.৫৪ পিএম
  • ১৬৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক 

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

২০ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) হল রুমে বিকাল তিনটায় ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন সংগঠন ও সচেতন নাগরিকগণ উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তথ্য উপস্থাপন করেন। আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ও একটি জাতীয় দৈনিকের দফতরে আসা বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ শেষে জানা যায় যে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ৯৭২ জন চাকরি প্রত্যাশিদেরকে অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করে উত্তীর্ণ করিয়েছেন খান মো. রেজাউল করিম পরিচালক (প্রশাসন) এর নেতৃত্বে প্রশাসন ইউনিটের সিন্ডিকেট। এক্ষেত্রে তারা লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর পদ্ধতি পরিবর্তন করে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নিয়োগ-বাণিজ্যকে নিষ্কন্টক করার জন্য মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় ‘টিক চিহ্ন’ পদ্ধতি চালু করেন। এবং চাকরি প্রত্যাশি প্রতি পরীক্ষার্থীর নিকট হতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল ২০২৩ বেশকিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৯৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি চাকরি প্রত্যাশির পরীক্ষার খাতায় টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে টিক মার্ক দেয়া হয়েছে, যা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হলে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হবে।

 

উপরোক্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব বরাবরে গত ৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাফেজ মো. বেলাল হোছাইন ভূইয়া ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অনিয়ম’ বিষয় সম্বলিত একটি অভিযোগ দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগে জনাব বেলাল বলেন, গত ১৮/০২/২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগ পরীক্ষায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন), খান মোহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট ৪৬টি জেলার চাকরি প্রত্যাশিদের কাছ থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়ার আশ্বাসে বড় রকমের আর্থিক লেনদেন করেছেন। সরেজমিনে বেশকিছু চাকরি প্রত্যাশি এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন), প্রশাসন ইউনিট এর নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেট সারাদেশ থেকে চাকরি প্রত্যাশি বিভিন্ন প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়ার কথা বলে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা করে সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া এমন অনেক প্রার্থী রয়েছেন যাদেরকে চুড়ান্ত নিয়োগের আশ^াস দিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। চুড়ান্ত নিয়োগের আশ্বাস দেয়া প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ওই সিন্ডিকেট। এ সংক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের ৯৭২ জন প্রার্থীর রোল নম্বর সম্বলিত একটি তালিকা তদন্তের জন্য সংযুক্ত করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বেলাল হোসাইনের উক্ত অভিযোগ তদন্ত ছাড়াই গত ১১ মে ২০২৩ তারিখ মধ্যরাতে অধিদফতের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়। এই প্রকাশিত ফলাফলের নম্বর আর জনাব বেলাল হোসাইনের অভিযোগে উল্লিখিত নম্বরসমূহ একই নম্বর। এমতাবস্থায়, প্রতীয়মান হয় যে, জনাব বেলাল হোসাইনের অভিযোগ শতভাগ সত্য ছিল। অত:পর সংক্ষুব্দ হয়ে আমি ড. সুফি সাগর সামস্ ও জনাব বেলাল হোসাইন গত ১৭ মে ২০২৩ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর বরাবরে উক্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি। একই দিন জনাব বেলাল হোসাইন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে এক অভিযোগ দায়ের করেন।

 

৯৭২ জন চাকরি প্রত্যাশি পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরসহ পরীক্ষার ফলাফল সরকারিভাবে প্রকাশের ৭০ দিন পূর্বে পাস দেখানো ফলাফলের কপি তাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে টাকা নেয়া হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ সংক্রান্তে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তাতে বর্ণিত আছে, পরিচালক (প্রশাসন), খান মো. রেজাউল করিম বলে বেরাচ্ছেন, ‘এসব তদন্তে কিছু হবে না। টাকা ও ক্ষমতার কাছে সব নিষ্ফল। তদন্তে কোনো কিছু প্রমাণ হবে না’।

 

জনাব খান মোহাম্মদ রেজাউল করিম সঠিক বলেছেন। তিনি অত্যন্ত চাতুর্য্যপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি চাতুর্য্যতার সাথে নিয়োগ পরীক্ষায় ৭০ মার্ক ‘টিক চিহ্ন’ পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন। তিনি ৭০ মার্ক টিক চিহ্ন পদ্ধতি এই জন্য নির্ধারণ করেছেন যে, তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি যাতে কেউ প্রমাণ করতে না পারেন। কারণ, লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হলে পরীক্ষার খাতায় পরীক্ষার্থীর হাতের লেখা পরীক্ষা করে অনিয়ম প্রমাণ করা সম্ভব হতো। কিন্তু টিক চিহ্ন পদ্ধতিতে হাতের লেখা পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। সাধারণত: যে কোন পরীক্ষায় ১০০ মার্কের মধ্যে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ মার্ক টিক চিহ্ন এবং ২০ থেকে ৩০ মার্ক ভাইবা রাখা হয়। আর ৭০ ভাগই লিখিত পরীক্ষার মার্ক রাখা হয়। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এই নিয়োগ পরীক্ষায় ৩০ মার্ক ভাইবায় রেখেছেন আর ৭০ মার্ক টিক চিহ্ন পদ্ধতিতে নির্ধারণ করেছেন। লিখিত পরীক্ষার কোন মার্কই রাখেন নি। প্রশ্ন হলো, প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে চাকরি প্রার্থী পরীক্ষাথীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য ৭০ ভাগ টিক চিহ্ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হলো কেন? টিক চিহ্ন পদ্ধতি কী মেধা যাচাইয়ের সর্বোচ্চ মাধ্যম? এই পদ্ধতি কী বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে সর্বোচ্চ চুড়ান্ত কোন পদ্ধতি? নাকি নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম ও দুর্নীতি যাতে কোনভাবেই প্রমাণ করা সম্ভব না হয় তার জন্য টিক চিহ্ন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।

 

আপনারা জানেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার পদে বহাল রেখে তদন্ত করা হলে প্রকৃত ও সঠিক তদন্তের স্বাভাবিক গতি অব্যাহত থাকে না। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হন। তাদের সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে বাধাগ্রস্থ করা হয়। এমতাবস্থায়, ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ সাক্ষী দিতে রাজি হন না। এজন্য সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়মের অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে তার পদ থেকে অপসারণ করে তদন্ত করা একান্ত আবশ্যক। অন্যথায়, সুষ্ঠু তদন্ত

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews