শহিদুল ইসলাম সোহেল নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পরীক্ষার ১৭ বছর পর বিসিএসের ভাইভা, ক্যাডার হলেন সুমনা
১৭ বছর পর বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার পর বিসিএস ক্যাডার (স্বাস্থ্য) হয়েছেন ডা. সুমনা সরকার।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা. সুমনা সরকারকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে ফল প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, ২৩তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০০০ এর প্রার্থী ডা. সুমনা সরকারকে (রেজিস্ট্রেশন নম্বর-০০১৪৬৮) বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সহকারী সার্জন পদে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হলো।
প্রার্থীর আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত সনদ, তথ্য, ডকুমেন্টস এবং আবেদনপত্রে প্রার্থীর অঙ্গীরকারনামার ভিত্তিতে কমিশন কর্তৃক প্রার্থীকে এই শর্তে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হলো যে, নিয়োগের পূর্বে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রার্থীর সংযুক্ত সনদ, ডকুমেন্টস ও কাগজপত্রের সত্যতা যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হয়ে চূড়ান্ত নিয়োগ দেবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে বা প্রাক চাকরি জীবন বৃত্তান্ত যাচাইয়ের পর চাকরির জন্য অযোগ্য বিবেচনা করা হলে ওই প্রার্থীর সুপারিশ বাতিল হবে।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ গত বছরের ১৯ নভেম্বর ২৩তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০০০ এ অংশ নিয়ে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ডা. সুমনা সরকারের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
২৩তম বিসিএস (বিশেষ) স্বাস্থ্য ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেন সুমনা সরকার। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন তিনি।
২০০৩ সালের ২৫ জুন মুক্তিযোদ্ধার সনদ সংক্রান্ত জটিলতার কারণ দেখিয়ে সুমনাসহ অনেক পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করেনি পিএসসি। পরে তারা মৌখিক পরীক্ষা দিতে পারেনি।
মৌখিক পরীক্ষা বঞ্চিতদের মধ্যে ২০০৩ সালে কয়েকজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। উচ্চ আদালত তাদের রিটের শুনানি নিয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই আদেশের ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়ে তারা নিয়োগও পান।
পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে ডা. সুমনা সরকারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তার করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের হাইকোর্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে পিএসসি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ সুমনাকে মৌখিক পরীক্ষার সুযোগ দিতে পিএসসিকে নির্দেশ দিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন। ফলে সুমনা সরকার প্রায় দুই দশক পর তার সেই বিসিএস পরীক্ষার ভাইভা দেওয়ার সুযোগ পেলেন।
সুমনা সরকার চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. অমল কৃষ্ণ সরকার টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy