জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ হয়নি ভূমি জটিলতার কারণে। তৎমধ্যে বরকল ও জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ছাদের আস্তরণ ভেঙ্গে পড়েছে। দেয়াল ফেটে পরগাছার শিকড় এব্রোতেব্রো অবস্থায় রয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান আমিন আহমদ চৌধুরী রোকন ২১ আগস্ট’১৬ তারিখের প্রথম সভায় সকল সদস্যের উপস্থিতিতে অস্থায়ী ভবনে পরিষদের কাজ পরিচালনা করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাছাড়া প্রতি শনিবার ঐ কার্যালয়ে পরিষদের কাজ করার কথা থাকলেও ভবনটি দিন দিন মারত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যথারীতি অস্থায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রেজুলেশনের কপি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরিষদের নিজস্ব কোন জমি নাই। ভবনটি মালিকানাধীন সম্পত্তিতে অবস্থিত। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ২৫ শতক জমির প্রয়োজন। পর্যাপ্ত জমি না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ঝরাজীর্ণ ভবনটি উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার চট্টগ্রামের মোঃ নায়েব আলী ২০১৭ সালে একাধিকবার, ২০১৯ সালে উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার চট্টগ্রামের ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজি ২০২০ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন, ২০২১ সালে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভবনটি নির্মাণের উপর গুরুত্বারোপ করে মন্তব্য খাতায় লিপিবদ্ধ করেন।
বর্তমানে যে অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তাতে এ ইউনিয়নের জণগনের সন্তুষ্টি রয়েছে। কারণ পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের আশেপাশে কোন ধরনের ফটোস্ট্যাস্ট মেশিন, ষ্টুডিও নাই। ফলে পরিষদের সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ফটোকপি বা ছবি তুলতে হলে বর্তমান অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশে আসতে হয়। এডভোকেট শামসুদ্দীন আহমদ সিদ্দিকী বলেছেন,তৎকালীন পটিয়া থানার অধীনে বর্তমান রশিদাবাদ,জোয়ারা,হারলা ইউনিয়ন দিয়ে জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে জোয়ারা,হারলা ও রশিদাবাদ পৃথক পৃথক ইউনিয়ন পরিষদ বিভক্ত হওয়ার পর এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৮ সালে চন্দনাইশ থানা পটিয়া থেকে আলাদা হওয়ার পর জোয়ারা ও হারলা ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে পড়ে। সে থেকে এ ভবনটি বড় ধরনের কোন রকম সংস্কার না করায় বর্তমানে ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ ও বরকল ইউনিয়ন পরিষদে পর্যাপ্ত পরিমান তথা ২৫ শতক জমি না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে বরকল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেছেন,কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের ২৫ শতক জমি না থাকায় ঝরাজীর্ণ ভবনে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ঝুঁকি নিয়ে। তিনি এ ব্যাপারে একাধিকবার পদক্ষেপ গ্রহণ করেও জমি স্বল্পতার কারণে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন জাহাঙ্গীর বলেছেন, ২০১৫ সালে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। পর্যাপ্ত পরিমান জমি না থাকার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ ইউনিয়ন পরিষদের অধিবাসীরা সেবা নিতে এসে যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি জমি অধিগ্রহণপূর্বক কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে যথাযথ কর্তপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম বলেছেন,উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে জমি না থাকায় জোয়ারা,বরকল ও কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছেন না। স্থানীয় চেয়ারম্যান বা বৃত্তবানেরা পরিষদের জন্য ২৫ শতক জমির ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ ৩টি পরিষদে দৃষ্টিনন্দন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy