আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter Instagram share
রমজানে বিদ্যুত সরবরাহ মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও ছুটির দিন থেকেই শুরু হয় অস্বাভাবিক আচরণ।
করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে এমনিতেই বন্ধ রয়েছে সরকারী অফিস আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্টান সমূহ। ব্যাংক ও কিছু কিছু বেসরকারী প্রতিষ্টানে মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য চলছে কার্যক্রম। এমতাবস্হায় বিদ্যুতের ব্যাবহার স্বাভাবিকের চেয়ে কমে এসেছে অনেকটাই ।
Surjodoy.com
বিদ্যমান পরিস্থিতিতেই পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, সে উপলক্ষে গত ১৩মে(বৃহস্পতিবার) থেকে শনিবার পর্যন্ত সরকারী ছুটির কারনে সবকিছুই পুরোপুরি বন্ধ, রবিবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল বিদ্যুত নির্ভর সকল কল কারখানাও।
বিদ্যুতের সরবারহ ও চাহিদার হিসেব তেমন না বুঝলেও সাধারণ মানুষ অন্তত এটা বুঝেন যে উল্লেখিত কারনে এই তিন চারদিনে এলাকায় বিদ্যুতের ব্যাবহার কমে এসেছে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক অনেক কম এ। তাই এই সময়ে এক মুহুর্তের জন্যেও লোডশেডিং কিংবা বিদ্যুত না থাকার কথা নয়।
The Daily surjodoy
বাস্তবে তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে দক্ষিন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়। রমজানে বিদ্যুত সরবারহ মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও সেই ছুটির দিন থেকেই শুরু হয় পল্লীবিদ্যুতের অস্বাভাবিক আচরণ।
বিভিন্ন সূত্রমতে প্রাপ্ত খবরে জানা যায় আজ তিনদিন ধরে(শনি,রবি ও সোমবার) উপজেলার হাজীঁগাও, বটতলী, বৈরাগ,বন্দর, গুন্দ্বীপ, বারশত ও গহিরা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে চলছে সীমাহীন লোডশেডিং, এ সব এলাকায় বিদ্যুত থাকছেনা ঘন্টার পর ঘন্টা।
ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
The Daily surjodoy
বিরাজমান এই অস্বাভাবিক কারণ সম্পর্কে জানতে পল্লীবিদ্যুতের জরুরী সেবা কেন্দ্রে ফোন করলেও ফোন রিসিভ হয়না অধিকাংশ সময়েই, মাঝে মধ্যে রিসিভ হলেও মিলছেনা কোন সদুত্তর।
সব মিলিয়ে বিদ্যুত নিয়ে একটা হ-য-ব-র-ল অবস্হার মধ্যেই দিন কাটছে আনোয়ারাবাসীর। এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ ও স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের কার্যকরি ভূমিকা চান তারা।