শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সান্তাহারে বাণিজ্যিক লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও উচ্ছেদ আদেশ হওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপকসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার বগুড়ার সহকারি জজ আদালতে আদমদীঘির সান্তাহারের ব্যবসায়ী কলিম উদ্দিন ও হাসানুন বান্না বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (সি.ই.ও) রেজাউল করিম, পাকশীর বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (ডি.ই.ও) নুরুজ্জামান ও সান্তাহার কাচারীর ফিল্ড কানুনগো মহসীন আলী।
এছাড়া এই দুই মামলায় জেল কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে আইন বহির্ভূত কাজ করায় নওগাঁ সদর উপজেলার পাথরকুটা গ্রামের সাহেব উদ্দিনের ছেলে সিরাজকেও বিবাদী করা হয়েছে। আদালত বাদীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন তাদের উচ্ছেদ আদেশ অবৈধ করা হবে না এই মর্মে আগামী সাত দিনের মধ্যে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদি কলিম উদ্দিন ও হাসানুন বান্নার নামে আদমদীঘি সান্তাহার জংশন স্টেশনের এক নম্বর রেলগেট এলাকায় রেল ভূমিতে অবস্থিত বিপণীবিতানে দুটি দোকান ঘর রয়েছে। বাদি ২ ব্যবসায়ী ১৯৯৬ সালে রেলওয়ে ভূ-সম্পদ বিভাগ থেকে বাণিজ্যিক লাইসেন্স গ্রহণ করেন। ওই জায়গাতে সর্বমোট ২১ টি দোকান ঘর রয়েছে।
চলতি অর্থ বছর নাগাদ বাদিদের রেলওয়ের খাজনা পরিশোধ করা থাকলেও গত ২ ডিসেম্বর কলিম উদ্দিন ৫ বর্গফুট এবং হাসানুন বান্নাকে ৪ বর্গফুট জায়গা অবৈধ দখলদার দেখিয়ে রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ- সম্পত্তি কর্মকর্তা উচ্ছেদের চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে দোকান অপসরণ করে জায়গা সান্তাহার কানুনগোর নিকট বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। বাদীরা জানান, ওই বিপণিবিতানে শুধুমাত্র ২১ টি দোকান বরাদ্দ দিয়ে লাইসেন্স প্রদান করা হলেও সম্প্রতি পাকশী ভূ-সম্পত্তি বিভাগ বর্ধিত অংশ সৃষ্টি করে বিবাদী সিরাজের নামে ৭৫ বর্গফুট জায়গার বর্ধিত লাইসেন্স প্রদান করেন। ১৯৯৬ সালের পর থেকে রেলওয়ে বাণিজ্যিক লাইসেন্স প্রদান বন্ধ থাকলেও নতুন নকশা সৃষ্টি করে ওই এলাকায় আরও পাঁচটি দোকানের লাইসেন্স দেয় পাকশী বিভাগীয় ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তা। এ সংক্রান্ত ঘটনায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের হলে আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন তাদের উচ্ছেদ আদেশ অবৈধ করা হবে না এই মর্মে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদরা পাকশীর বিভাগীয় ভূ- সম্পত্তি কর্মকর্তা (ডি.ই.ও) নুরুজ্জামান ও প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে দুজনই ফোন ধরেননি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy