1. dailysurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
পাইকগাছায় মধুমিতা পার্কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা মহামান্য হাইকোর্টের
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশার ব্যাপক গণসংযোগ। সাভার উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ভিজিডি কাড না দেওয়ায় সৈয়দপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও পথসভা নৈতীক স্খলন ও সিমাহীন আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদে সৈয়দপুর পৌর মেয়রের অপসারনের দাবীতে \ সংবাদ সম্মেলন টেলিভিশন ক্যামেরা র্জানালিস্ট অ্যাসোসয়িশেন (টিসিএ) নেতৃত্বে   সোহলে ও জুয়েল কলাতিয়া বাজারের যানজট ও ফুটপাত দখল মুক্ত করলেন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ি “বাংলাদেশ সূফী ফাউন্ডেশন পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রমজান মাসে যাত্রা শুরু করবে” নীলফামারীতে উৎসবমুখর পরিবেশে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নীলফামারী টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটি গঠন এস আই আল মামুন এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে – ভুক্তভোগী সজল

পাইকগাছায় মধুমিতা পার্কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা মহামান্য হাইকোর্টের

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩, ৭.২১ পিএম
  • ৯৮ বার পঠিত

শাহরিয়ার কবির,পাইকগাছা

খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত মধুমিতা পার্ক। যা জনৈক মাদার মন্ডল তার স্বত্ব দখলীয় বাতিখালি মৌজার সাবেক ৯১খতিয়ানের ১৭১,১৭২ খতিয়ানের ১.০৭ একর জমি ভারত সরকারের নামে দান করেন। দানীয় জমিতে পুকুর খননের মাধ্যমে এলাকার মানুষের মিষ্টি পানির অভাব দূর হতে থাকে।ঐ পুকুরের পানি মিষ্টি হওয়ায় এলাকার লোকজন পুকুরটির নাম দেন মিষ্টি পুকুর। এরপর ১৯৮০ সালে তৎকালিন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মিষ্টি পুকুরটির সংরক্ষনের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মান করেন। পরবর্তীতে খুলনার জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম পুকুরটির প্রাচীরের মধ্যে চলাচলের জন্য চারিপাশে রাস্তা নির্মান, লোকজনের বসার জন্য পাকা বেঞ্চ, পাকা ঘাট সহ চারিপাশে বিভিন্ন ফল ও ফুলের গাছ রোপনের মাধ্যমে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এরপর স্থানটির নাম হয় মধুমিতা পার্ক। যা উদ্বোধন করেন তৎকালিন খুলনার জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম। ঐ সময় থেকে পৌরবাসির একমাত্র চিত্তবিনোদন কেন্দ্র হয় মধুমিতা পার্ক এবং পার্কের অভ্যান্তরে থাকা মিষ্টি পানির পুকুরটি পৌরবাসির মিষ্টি পানির অভাব দূরীকরনের একমাত্র আধার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।এ অবস্থায় মধুমিতা পার্ক ও মিষ্টি পুকুরের উপর কু-নজর পড়ে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী, ভূমিখেকো,রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও ব্যবসায়ীদের।তারা খুলনা জেলা পরিষদের অসৎ কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগে করে পার্কের প্রাচীর ও রাস্তা ভেঙ্গে পাকা দোকানঘর নির্মান করে। তখন পৌরসভায় সচেতন মহল মধুমিতা পার্ক সংরক্ষন কমিটি গঠন করে প্রতিবাদ সভা,মানববন্ধন সহ কর্তৃপক্ষের কাছে পার্কটি সংরক্ষনের জন্য আবেদন-নিবেদন করতে থাকেন। ব্যর্থ হয়ে সহাকারি জর্জ আদালত পাইকগাছায় অবৈধ বন্দোবস্ত ও দখলকারিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা করেন ও নিষেধাজ্ঞা পান।

 

পাইকগাছায় অবৈধ দখলকাররা তা অমান্য করে দোকানঘর নির্মান করে ব্যবসা করতে থাকেন। পরবর্তীতে পার্ক সংরক্ষন কমিটি তৎকালিন জাতীয় সংসদের স্পীকারের সরানাপন্ন হন এবং তার পরামর্শে বিগত ২০০৫ সালে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। যার নং- ৩৫৯০/০৫।মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি অন্তে বিগত ২০০৫সালের ২৪মে মধুমিতা পার্কের অভ্যন্তরে অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধ করার আদেশ দেন। দীর্ঘদিনেও সরকারি কর্মকর্তা এবং অবৈধ দখলদাররা মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে অবৈধ স্থাপনা রেখে কেউ কেউ নিজে দোকান দিয়ে ব্যবসা করেছেন আবার কেউ কেউ অগ্রিম মোটা টাকা ভাড়া নিয়ে ভাড়া দিয়ে তাদের অবৈধ স্থাপনা সহ দখল বজায় রেখেছেন। যা মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের অবমাননা ও গুরুতর অপরাধ। উক্ত বিষয় উল্লেখ করে মধুমিতা পার্ক সংরক্ষন কমিটি মহামান্য হাইকোর্ট কোর্ট অব কন্টেম পিটিশন দাখিল করেন। যার নং ১০২/২২। উক্ত পিটিশন কয়েক দফায় শুনানি অন্তে সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ’২৩ মহামান্য হাইকোর্ট মামলার বিবাদিদের কে আগামী ২০দিনের মধ্যে মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মধুমিতা পার্কটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পৌরবাসির মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

 

ঘটনার বিষয়ে মধুমিতা পার্ক সংরক্ষন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা জ্যৈষ্ঠ আইনজীবি এ্যাডভোকেট জি,এ সবুর ও পার্ক সংরক্ষন কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট এফ,এম,এ রাজ্জাক আলাপকালে তারা জানান,উল্লেখিত ঘটনাটি সত্য এবং অতি দ্রুত মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ পাওয়া মাত্রই কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews