নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনার পাইকগাছার কৃষিতে সমৃদ্ধ গড়ইখালী ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে হাজর-হাজার বিঘার সবুজ ফসলের ক্ষেত দেখে মন জুড়িয়ে যায়। চারিদিকে শুধু সোনালী ধানসহ লোভনীয় তরমুজ,ঢেঁড়শ, উচ্ছে, মিষ্টি আলু পুঁইশাকসহ নানা ধরনের সবজি তুলতে কৃষক-কৃষানীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
২৬ এপ্রিল-২৩ বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে রবি মৌসুমে বাইনবাড়ীয়া,হোগলারচক,আমিরপুর,কুমখালী, কানাখালী পাতড়াবুনিয়া ও পাশ্ববর্তী কয়রা উপজেলার চান্নিরচকসহ বিভিন্ন মাঠের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি ও তরমুজ ট্রাক যোগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। একাধিক তরমুজ চাষির জানান, ক্ষরা ও শিলা বৃষ্টিতে বেশ কিছু চাষির তরমুজের উৎপাদন আশানুরুপ হয়নি। তবে অধিকাংশ চাষিরা লাভবান হয়েছে। বাইনবাড়ীয়ার তরমুজ চাষি সুভাষ মিস্ত্রী ও সুব্রত মিস্ত্রী এ প্রতিবেদককে জানান, জমির হারী, বীজ-সার,সেচ কীটনাশকসহ বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি তরমুজের ক্ষেত বিক্রি হয়েছে সর্বনিন্ম ২০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। কৃষকদের অভিমত প্রতি বছরে দো-ফসলী এ এলাকার মানুষ শ্রমঘন শিল্প বিশেষ করে ধানচাষসহ তরমুজ ও বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে এবং সর্বোপরী দেশের কৃষি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছেন।
এ বিষয়ে গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম আব্দুস ছালাম কেরু মিষ্টি পানির স্বপক্ষে মতামত করে জানান,এলাকার কৃষি খাতকে মজবুত করতে ঘোষখালী বদ্ধ নদীর (শান্তার গোড়ায়) বাঁধ দিয়ে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করে রবি মৌসুমের ধান,তরমুজসহ সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। বিশেষ করে পানি সেচে প্রসঙ্গে তিনি আরোও বলেন, গত বছর কৃষকদের পাশে থেকে ও খুলনা-৬’র এমপি মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র হস্তক্ষেপে পল্লী বিদ্যুৎ এর জরিমানার টাকা গুনতে হয়নি।