পাইকগাছার রাড়ুলী জেলে পল্লী এলাকার কপোতাক্ষের ভাঙ্গনকবলিত বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার ও বাঁকা চরের বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন এবং স্লুইচ গেট ( কাল ভার্ট) নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরাম এর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ফোরামের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের সভাপতি প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আব্দুল আজিজ, অখিল কুমার মন্ডল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাওসেড এর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মানিক লাল বসু। স্মারকলিপির মাধ্যমে উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন উপজেলার রাড়ুলী জেলে পল্লী এলাকার কপোতাক্ষ নদের অব্যাহত ভাঙ্গনে ওই এলাকার বহু ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। জেলে সম্প্রদায় সহ অন্যান্য অনেক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন না করায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্লাবিত হয়ে এলাকার মানুষ এবং সরকারি সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্তমানে রাড়ুলী পূর্ব পাড়া হতে জেলে পল্লী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খেয়াঘাট পর্যন্ত ৮০০ মিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এখানকার ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে কয়েক কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। প্রথম দিকে কাজ চলমান থাকলে ও বর্তমানে কোন অগ্রগতি নাই। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান ফোরামের নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে কপোতাক্ষ নদ খনন করার ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল না রেখে খননকৃত মাটি অপরিকল্পিত ভাবে নদের পাশ দিয়ে রাখায় বাঁকা চরের বিলের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চরের বিলের ৬০০ বিঘা জমির কৃষি ফসল ও মৎস্য উৎপাদন এবং সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন চরম ব্যহত হচ্ছে। এখানকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি সরবরাহ সরকারি খাল খনন এবং কপোতাক্ষ নদ ও খালের সংযোগ স্থলে একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ জরুরি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন উপজেলা ক্লাইমেট জাস্টিস ফোরামের নেতৃবৃন্দ।