আসমা আহমেদঃ
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ভান্ডারদহ মিয়াজটরী গ্রমে বজলুর রহমান এর নিজ জমির গাছ কেটে নিচ্ছে এলাকার সন্ত্রাসীরা। গাছ কাটায় বাঁধা দিলে অস্রে সজ্জিত সন্ত্রাসীরা বজলুর রহমান এর উপর হামলা করে। এতে মাথায় জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরে যায় বজলুর রহমান। তাকে বাঁচাতে এসে জহরুল হক ও শাপলা বেগমও হামলার শিকার হন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করেন বজলুর রহমান।
জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রমের সন্ত্রসী মো. শফিকুল ইসলাম, আ. হামিদ, রফিকুল ইসলাম, মারুফ হোসেন , ফারুক হোসেন, রবিউল, মঞ্জু, বকুল মজিবর রহমান সহ এলাকা কয়েকজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা পাটগ্রাম উপজেলার ভান্ডারদহ মিয়াজটরী গ্রামের বজলুর রহমান এর জমির গাছ কেটে নিচ্ছিলেন।
এতে বাঁধা দেওয়ায় হামলাপর শিকার হন তিনি মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামীগণ সকলেই একদলভূক্ত, দাঙ্গাবাজ, মামলাবাজ, আইন অমান্যকারী, পরধন আত্নসাৎকারী, অসৎ শ্রেণীর ব্যক্তি বটে। সম্পত্তি লইয়া বাদী ও আসামীগণের পূর্ব হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। তপশীল বর্ণিত জমিতে বাদী নিম, মেহগনি, সুপারী ইত্যাদি গাছ-গাছালী লাগাইয়া ভোগবান দখলীকার আছেন। পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া গত ২৮/০৭/২০২০ ইং তারিখে সকাল অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় সকল আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো ছোড়া, ধারালো দা, কুড়াল, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া তফশীল বর্ণিত জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া গাছ কাটতে শুরু করে। এই ঘটনা দেখিয়া বাদী আসামীগণকে বাঁধা দিলে সকল আসামীগণ বাদীকে ঘিরিয়া ধরে। ঐ সময় আসামী শফিকুল ইসলাম হুকুম দিয়া বলে যে, “শালাকে মারিয়া জমির সাধ মিঠাইয়া দেও।” হুকুম পাওয়া মাত্র আসামী আঃ হামিদ, মঞ্জু, রায়হান, মজিবর তাদের হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা এলোপাথারী ভাবে মার-ডাং করিয়া গায়ে ছেলা-ফুলা জখম করে। ঐ সময় আসামী শফিকুল ইসলাম বাদীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়া বাদীর মাথা বরাবর স্বজোরে চোট দেয়। উক্ত চোট বাদীর মাথার সামনে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়।
বাদী মাটিতে পড়িয়া গেলে স্বাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে ছুটিয়া আসিয়া বাদীকে উদ্ধার করার চেষ্টা করিলে আসামী রফিকুল ইসলাম, মারুফ, মঞ্জু, বকুল, স্বাক্ষী- শাফলা বেগম ও জহুরুল হককে হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা এলোপাথারী ভাবে মার-ডাং করিয়া ছেলা ফোলা জখম করে। আসামী আঃ হামিদ ঐ সময় স্বাক্ষী- জহুরুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা বরাবর হাতে থাকা কোদাল দিয়া স্বজোরে কোপ মারিলে স্বাক্ষী- জহুরুল হক এর বাম পায়ের হাঁটুর নিচে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। ঐ সময় আসামী রাবিউল ইসলাম স্বাক্ষী- শাপলা বেগমের শ্লীলতাহানীর উদ্দেশ্যে পড়নের মেক্সি টানিয়া ছেচড়াইয়া বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। ঐ সময় আসামী মেহেরবানু ও আমেনা খাতুন দুই কান হ্ইিত ও গলা হইতে কানের দুল ও স্বর্ণের চেইন ওজন অনুমান ২ ভরি মূল্য আনুমানিক ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা খুলিয়া চুরি করিয়া লয়।
সকল আসামীগণ ঐ সময় তফশীল বর্ণিত জমির ২০টি মেহগণি ও ১১টি নিম গাছ কাটিয়া ফেলিয়া দিয়া ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতি করিতে না পারিয়া পরবর্তীতে একা পাইলে খুন জখমের হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। লন।
বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পাটগ্রাম থানার ওসি মামলা নেয়নি। অবশেষে আদালতে মামলা করেন ভোক্তভুগী বজলুর রহমান।