এ,এইচ,এম তারেকুজ্জামান , পাটগ্রাম প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মশিউর রহমান কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহারে শিকার মো: হাসেম আলির অভিযোগ দায়ের। তিনি গতকাল স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মোতাহার হোসেন বরাবর অভিযোগ পএ লিখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুকূলে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে অনুলিপি কপি প্রেরণ করেন। তবে কিছু দপ্তর দুরবর্তী স্থানে অবস্থান করায় ডাক যোগের মাধ্যমে অভিযোগ পিএটি পাঠানো হয়েছে বলে সত্যতা পাওয়া যায়। অনেকটা রুপকথার গল্পের মতো আগমন ছিলো পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মশিউর রহমানের। তার তারুণ্যকে কাজে লাগাতে চেয়ে ছিলো পাটগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ অনেকটা আশা জাগালেও তিনি ছিলেন বদমেজাজি ও কৌশলগত ভুমিকার অধিকারী এমন বাস্তবতা দৃশ্যমান হয়েছে। সেই সুএ ধরে তার ভালো কাজের পাশাপাশি অসংখ্য অভিযোগ দৃশ্যমান হতে থাকে। তার কৌশলের কাছে হেরে যায় অনেকেই। সেই সুএের ধারাবাহিকতায় মো: হাসেম আলীর অভিযোগের সুএ অনুযায়ী জানাযায় গত ২১ জুন সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সময়ের মধ্যে দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি কিন্তু তার পারিবারিক ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শার্টারের আংশিক অংশ খুলে সকালের নাস্তা ও কয়েল নিতে এসে চোখে পড়ে যান পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো : মশিউর রহমানের । তিনি কোনো কথা না শুনেই দোকানদার মো:হাসেম আলীকে অকথ্য ভাষায় লালিগালাজ ও জেলে পাঠানোর হুমকি দিতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি আকুতি মিনতী করে দুহাত জোর করে ক্ষমা চাইলেও ক্ষমা মেলেনি মো: হাসেম আলীর। ক্ষমা বদলে মিললো জরিমানা ১ হাজার টাকা। অথচ করোনা পরিস্থিতির কারণে সেইদিন তার দোকানে বিক্র হয়েছে মাএ ৮০ টাকা। জরিমানার টাকা সাথে না থাকায় মো: দুলাল হোসেনের নিকট থেকে ১ হাজার টাকা লাভের উপর নিয়ে পরদিন সকাল বেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ১ হাজার টাকা দিলে তার হাতে জরিমানার কেস স্লিপটি ধরিয়ে দেওয়া হয়। যার বাংলাদেশ ফরম নং ১২১, মামলা নং ৩৯৮/২০২০, দন্ডবিধি ১৮৬০ ও ২৬৯ ধারা। বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দগত অবগত হওয়ায় ক্ষেপে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মশিউর রহমান। এঘটনায় তিনি উত্তেজিত হয়ে পরবর্তিতে ২৫ জুন দোকানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অফিসের লোকজনকে তালাসহ পাঠিয়ে দেন। সেখানে উপস্থিত থাকা লোকদের সহযোগিতায় নিজেকে রক্ষা করতে ছুটে যান সীমান্ত অফিসের মো: কাদের ইলাহী লাভলুর কাছে এবং তাকে বিস্তারিত বিষয় খুলে বললে তিনি তাদেরকে সুপরামর্শ দিয়ে বিদায় করে দেন তবে তাদের হুমকির ঠেলায় হতবাক হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন এবং এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি কাদের ইলাহী লাভবুর কাছ থেকে ১৫শত টাকা ধার নিয়ে তাদের হাতে দিয়ে বিদায় করেন যার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি এখনোও। এদিকে ঘটনাটি অমানবিক হওয়ায় অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়। পরবর্তীতে হয়তোবা কারো মাধ্যমে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মশিউর রহমান অবগত হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে গত ২৯ জুন দুপুর সারে ১২টার দিকে নিজেই উপস্থিত হয়ে মো:হাসেম আলীর দোকানে গিয়ে কোনো আলোচনা ছাড়াই অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে দোকান বন্ধ করে চাবি নিয়ে চলে যান। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলেন কথা বললে ১ মাস আর কথা বললে ৩ মাস দোকান বন্ধ থাকবে। আর যদি সাংবাদিক কিংবা কোনো নেতার কাছে বলেন তাহলে ৩ তিন মাসের জেল দিয়ে দিবো বলে চলে যান তিনি। এমতাবস্থায় মো: হাসেম আলী নিরুপায় হয়ে অতীকষ্টে অসুস্থ শরিল নিয়ে সংসারের ৫ সদস্য নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এঘটনায় অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মশিউর রহমানকে গতকাল ১ জুলাই রাত ৯ টা ৩২ মিনিটে কল দিয়ে তার মন্তব্য জানার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে মো: হাসেম আলী জানান আমি দীর্ঘ ৯ বছর ভটভটি গাড়ি চালিয়েছি গত বছর আমি স্টোক করায় আমি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি। সংসার চালাতে অতীকষ্টে কিছু টাকা পয়সা লোন করে এই দোকানটি শুরু করি। এই দোকানের সামান্য আয়ে আমাদের ৫ সদস্যের সংসার চলে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের পরিবারের অবস্থা একে বারেই শোচনীয়। আমি অনেকটা ক্লান্ত ও নিরুপায় তাই আমাকে ইউএনও স্যারের হাত থেকে বাঁচান। আমি অসহায় আমাকে আপনারা সহযোগীতা করুন। আমার দোকান বন্ধ, দোকানের চাবি ইউএনও স্যারের কাছে আমি এখন কি করবো কাউকে বলতেও পারিনা সইতেও পাড়িনা আমাকে বাঁচান। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মশিউর রহমানের কৌশলগত ভুমিকায় অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন তার ছাএ জীবন ও ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি সরকারের একজন কর্মকর্তা ও জনগণের সেবক হয়ে কোন সাহসে মানুষকে হয়রানি করেন। তার সাথে ভালো করে কথাও বলা যায় না মনে হয় মানসিক সমস্যা রয়েছে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ভোক্তভোগীগন। তবে সবমিলিয়ে তিনি পাটগ্রামে জন্য ফিট নয় এমনটাই ধারণা দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি। উল্লেখ এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত অসহায় দোকানদার হাসেম আলী এখন পর্যন্ত দোকানে চাবি না পেয়ে দিকবেদিক ছুটাছুটি করছেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মশিউর রহমান এর বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান পরবর্তী নিউজে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy