1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
পাটগ্রাম কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এক কর্মকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

পাটগ্রাম কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এক কর্মকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০, ৬.২৫ পিএম
  • ২৪২ বার পঠিত
এ,এইচ,এম তারেকুজ্জামান ফাইন প্রধান জেলা প্রতিনিধি :-
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এক কর্মকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
প্রায় বছর খানেক আগে ছিনতাই কৃত এপাসি আরটিআর ১৬০সিসি মডেলের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করার জন্য সম্প্রতি লালমনিরহাট আদালতে মামলা করেছেন মিঠু নামে এক যুবক। অভিযান পরিচালনাকারী দারোগা এসআই কাওসার আলম গাড়ীটি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ব্যাংক ঋণ দেয়ার নামে নিজ বাসায় সহজসরল জনগণকে ফাঁদে ফেলেন ব্যাংক কর্মকর্তা। ঋণ দেয়ার নামে জমি জায়গার দলিল নিয়ে সাধারণ জনগণকে এক প্রকার জিম্মি করে হয়রানী করেন তিনি।রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক,পাটগ্রাম শাখায় কর্মরত সুপারভাইজার ফরিদুল ইসলাম ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে দিনেদুপুরে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগে পাটগ্রাম পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মফর উদ্দীনের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর ইসলাম মিঠু বাদী হয়ে লালমনিরহাট জুডিশিয়াল আদালতে এমন অভিযোগ এনে ১০০ ধারায় মামলা করেন।বিজ্ঞ আদালত তা আমলে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি তল্লাসী করে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করার জন্য পাটগ্রাম থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।ইতোমধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করার জন্য তল্লাসী চালিয়েছেন পুলিশ কিন্তু বাসায় মোটর সাইকেলটি পাওয়া যায়নি। মোটর সাইকেলসহ সেদিন রাতে ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলে গ্রামের বাড়িতে লুকিয়েছিল।আরও অভিযান চলবে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে,মিঠুর বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তা চালাকি করে তাঁর ছেলেকে দিয়ে আদালতে চেক ডিজঅর্ডার
১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাওনা দাবী করে একটি মামলা করেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,
মফর উদ্দীন ও তাঁর দুই ছেলে মিলু মিঠু গালামাল ব্যবসা করেন।পৌরসভার ফায়ারসার্ভিস রোডে তাদের একটি বড় গালামাল দোকান রয়েছে।গালামাল দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি গাভী পালন ও দুধ দহন করে বাজারজাত করাও তাদের আরেকটি ব্যবসা। ব্যবসার প্রয়োজনে কিছু টাকা ঋণ  দরকার।পাটগ্রাম পৌরসভার একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাটগ্রাম কৃষি ব্যাংকের ফিল্ড সুপার ভাইজার ফরিদুল ইসলামের কাছে ঋণ নেয়ার প্রস্তাব করেন মিঠু ও তার বাবা। ঋণ ফরম পূরণের আগে আবেদনের সাথে গ্রামের ৬০ শতাংশ জমির দলিলও জমা দেয়া হয়।একদিন ব্যাংক কর্মকর্তা মিঠুর বাড়ি ও দোকান পরিদর্শনে যান।এরপর ব্যাংক কর্মকর্তা জানান,গ্রামের জমি দিয়ে দুই/তিন লাখ টাকা ঋণ দেয়া যাবেনা। পৌরসভার জমির দলিলও অন্য একটি ব্যাংকের ফাঁকা চেক পাতাসহ বাসায় দেখা করতে বলেন তিনি।
পরেরদিন মিঠু তার মামাদের জমির দলিলও যাবতীয় কাগজসহ দেখা করেন।
এরপর ব্যাংক কর্মকর্তা জানান,
ঋণ হবে,তবে লাখে ১০ হাজার টাকা খরচ পরবে।তবুও রাজী মিঠু।
ব্যাংক কর্মকর্তা মিঠুর বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে কথা দেন দুই লাখের জায়গায় তিনি ম্যানেজার স্যারকে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করে তিন লাখ টাকা বেশি ঋণ নিয়ে দিতে পারবেন। একটু সময় লাগবে।এদিকে,
মিঠুর টাকার দরকার।এ কারণে ব্যাংক ঋণ হওয়ার আগে সে ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে ফাঁকা চেক দিয়ে জরুরী প্রয়োজনে ৪০ হাজার টাকা হাওলাদ নেয়।
ঋণ দেয়ার নামে আজকাল কালক্ষেপণ করতে থাকেন
ব্যাংক কর্মকর্তা। উপর মহলকে ম্যানেজ করবেন বলে লাখে ১০ হাজার হিসেবে ৩ লাখে ৩০ হাজার টাকা অগ্রীম দাবী করে বসেন তিনি কিন্তু আগে টাকা দিতে নারাজী মিঠু।
৩/৪ মাস পর ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন,ঋণ দেয়ার সময় হলে জানানো হবে।৪০ হাজার টাকা সুদ সহ আসল ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।একথা শুনে বেকায়দায় পরে যান মিঠু।
৬/৭ মাস পর একদিন বাইপাস মোড় রহিদুলের মোটরসাইকেল গ্যারেজের পাশ থেকে মিঠুর কাছ থেকে মোটর সাইকেলটি নিয়ে ব্যাংক কর্তার ছেলে মহসিন উধাও হয়ে যান।
এ নিয়ে একাধিকবার দেন দরবার হয়েছে। কেউ সুরাহা করতে পারেনি।
ব্যাংক কর্মকর্তা গোপনে মিঠুর রুপালী ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেকটি ডিজঅর্ডার সনদ নিয়ে লালমনিরহাট আদালতে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাওনা দাবী করে মামলা করেন।
ছিনতাইকৃত গাড়িটি নিজ নামে করার জন্য ব্যাংক কর্তা গাড়ীর শো রুম হাতীবান্ধার এসএস কর্পোরেশন এ যোগাযোগও করেন কিন্তু পারেনি কারণ মিঠুর হাতে শোরুমের কাগজ আছে। দেড় লাখ টাকার গাড়িটি কিস্তিতে ক্রয় বলে শোরুম এখনও সামান্য কিছু টাকা মিঠুর কাছে পাওনা রয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তার হাত থেকে বাঁচতে মিঠু প্রতিদিন জনপ্রতিনিধি,নেতা,প্রশাসন সবার কাছে ছুটে যাচ্ছেন কিন্তু আইনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সাক্ষাতে ও মোবাইলে একাধিকবার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হননি। ছিনতাইয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত মহসিন আলমও মোবাইলে তার বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তার বাবা দেখা করবে বলে মহসিন জানায় কিন্তু দেখা হলে ও ব্যাপারে কথা বলতে রাজী হয়না। এ ব্যাপারে মিঠু বলেন,ব্যাংক ঋণের জালে ফেঁসে গেছি।ঋণ পাস হলে সুপারভাইজার পাওনা ৪০ হাজার টাকা কেটে নিবেন এমন কথা হয়।৪০ হাজার আসলের সাথে ৫ মাসের সুদ ২০ হাজার সহ ৬০ হাজার টাকার চাপ দেয়।তার কথা মত সুদাসল পরিশোধ করতে পারিনি বলে তিনি ফাঁকা চেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা লিখে মামলা দিয়েছেন।এমন বিপদ থেকে আমাকে বাঁচান।সেই ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে হাওলাদ নেয়া ৪০ হাজার টাকার কথা আদালতেও স্বীকারোক্তি দেন মিঠু।
এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান মিঠু পরিবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews