এ,এইচ,এম তারেকুজ্জামান ফাইন প্রধান,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট জেলা সদর হইতে সীমান্তবর্তী উপজেলা পাটগ্রামের দুরত্ব প্রায় ৮২ কিলোমিটার। বাংলাদেশের দীর্ঘতম বৈদ্যুতিক তারের সংযোগটিও লালমনিরহাট জেলায়। দীর্ঘতম সংযোগ হওয়ায় সামান্যতম ঝড়বৃষ্টিতে,বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হাতিবান্ধা-পাটগ্রাম দুই উপজেলা। ঝর বৃষ্টির গতি যদি বেশি হয় তাহলে তো দুই,তিন,দিনও বিদ্যুৎ এর দেখা মেলে না,বিদ্যুৎ এর সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ এই দুই উপজেলার মানুষ।আর সেই বহুদিনের বৈদ্যুতিক সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন লালমনিরহাট১ পাটগ্রাম-হাতিবান্ধা সংসদীয় আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোতাহার হেসেন।মাটি ও গনমানুষের নেতাখ্যাত সংসদ সদস্য তার কঠোর ও নিরলস প্রচেষ্টায় বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ৩৩ হাজার কেভি গ্রিড থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগ এর ব্যবস্হা গ্রহন করেছেন।তার একান্ত প্রচেষ্টায় আজ দোয়ানী তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্হা উন্নয়ন প্রকল্প,রংপুর জোন এর আওতায় ৩৩ কেভি ডাবল সার্কিট বৈদ্যুতিক লাইনের তিস্তা রিভার ক্রসিং টাওয়ার নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম-হাতিবান্ধা দুই উপজেলার সাধারন মানুষের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে,সেই আলোকে সকল অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের দাতঁ ভাংঙ্গা জবাব দিয়ে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের কাজ করছেন।এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন,প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন সরকার-প্রধান প্রকৌশলী, বিতরণ অঞ্চল, নেসকো লিঃ,রংপুর। মাহমুদুল হাসান সোহাগ-সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, হাতিবান্ধা উপজেলা শাখা ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী,রংপুর বিভাগ।বাহারুল ইসলাম তালুকদার,ব্যবস্হাপনা পরিচালক,দেশ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড। প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মতিন,নির্বাহী প্রকৌশলী, এস এন্ড ডি হাতিবান্ধা, নেসকো।প্রকৌশলী মোঃ লুৎফুল হায়দার চৌধুরী,উপ-প্রকল্প পরিচালক,প্রকল্প বিভাগ-১,বিবিবাউ প্রকল্প রংপুর জোন।
মাহমুদুল হাসান সোহাগ তার বক্তব্যে বলেন-দীর্ঘ ৯ বছর ধরে একটি মহল বিভিন্ন ভাবে মোতাহার হোসেন এমপি’র উন্নয়নের ধারাকে নানা ভাবে অপকৌশলে অপপ্রচার চালিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন,বরাবরই তারা ব্যর্থ হয়েছেন,বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনের জনপ্রিয়তায় ও উন্নয়নমুখী কর্মকান্ডে,বিদ্যুৎ নিয়েও তাদের অপপ্রচার ও অপকৌশলের গভীর ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীতায় জলঢাকা থেকে নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগ এর ব্যবস্হা করেন,যাতে এই দুই উপজেলার মানুষকে বিদ্যুৎ সমস্যায় আর পড়তে না হয়। প্রকৌশলীরা তাদের বক্তব্যে বলেন-তিস্তা নদীর উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক খুটি বসিয়ে তারের সংযোগটি সংযুক্ত হলে আর কোন সমস্যা হবে না,আমরা দ্রুততার সাথে কাজ করে যাচ্ছি,খুব শীঘ্রই কাজ শেষ করে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া কাজ করছি।