জিহাদ হেসাইন,লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লক্ষীপুর রামগতি ও কমলনগর,রায়পুরে গত কয়কেদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে লক্ষীপুরের সবকটি নদ-নদীর পানি বিপদ সীমায় উঠেছে।মেঘনার জোয়ার ও ভারী বর্ষণে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।প্লাবিত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে চরাঞ্চলের লাখো মানুষ।
গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে থেকে মেঘনার ধরলার পানি আবারো বিপদসীমার কাছাকাছি উঠানামা করছে।পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ যেন শেষই হচ্ছে না।এরআগেও কয়েকবার লক্ষীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা আর জোয়ারের পানিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।নতুন করে পানিতে তলিয়ে গেছে দুর্গত এলাকার রাস্তা-ঘাট ও ফসলের জমি,বসতভিটা সহ গবাদিপশুর গোয়ালঘর,দোকান-পাট।এসব এলাকায় ভারি বর্ষণ ও উজানের পানিতে আবারো বন্যা দেখা দিয়েছে।সেই সাথে রাাস্তাঘাট ভেঙে মূল শহরের সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষের পরিবার গুলো।অনেকের ঘরে খাবার থাকলেও রান্না করতে পারছেন না বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি।ফলে নদীপাড়ের মানুষের দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। বন্যার পানিতে রাস্তা ঘাট ডুবে থাকায় কলার ভেলাতে চলাচল করছে লক্ষীপুরের প্রায় ৪০টি চরের মানুষ।
গত পাঁচদিন মুশলধার বৃষ্টিপাত ও উজানের কারনে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছি। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে যেকোন সময় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।এদিকে পানির স্রোতে লক্ষীপুরের মেঘনার স্রোতে কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন।গত কয়েকদিন যাবত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৪০টি বসতভিটা, আবাদি জমি, ফলের বাগানসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা স্থাপনা।বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন নদীপাড়ের মানুষ।পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে সরকারি রাস্তা ও অন্যের জমিতে।দিনের পর দিন বাড়ছে বাস্তুহারা পরিবারের সংখ্যা।বন্যা যেন কোনভাবেই তাদের পিছু ছাড়ছে না।অসহায় পরিবারগুলো চোখে মুখে দেখছেন অন্ধকার।
লক্ষীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, সারাদেশই বৃষ্টিপাতের কারনে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।একদিকে যেমন অনেক বৃষ্টি হয়েছে।অন্যদিকে উজানের কারনে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।সহসায় পানি কমে যাবে আশাকরি।
Leave a Reply