জিহাদ হোসাইন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন।আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।এই আসন থেকে অন্যান্যদের মধ্যে উঠে আসে জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মিঠু। এবারের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে লড়তে চান বোরহান উদ্দিন। সাংগঠনিক ভাবে পার্টির বাইরেও তৃনমূল পর্যায়ে দৌঁড়-ঝাপে এগিয়ে আছেন বলে তার সমর্থকদের দাবি।জানা যায়,বোরহান উদ্দিন মিঠু ১৯৬৭ সালে রায়পুর উপজেলার ৩নং চর মোহনা ইউনিয়নের চালতাতলী পাচঁ মিয়াজি (পাচুঁ মিয়াজি বাড়ি) বাড়িতে পৈত্রিক বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ছোটবেলার বেশকিছুটা সময় নানা বাড়ি ১নং চর আবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জের গনি হাওলাদার বাড়িতে কেটেছে। পরবর্তীতে বাবা প্রকৌশলী ফিরোজ আহম্মেদের বদলী জনিত কারনে দেশের বিভিন্ন শহরে শিক্ষাজীবন কাটে।বোরহান উদ্দিনের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়,তিনি রাজনৈতিক একেবারে শুরু থেকে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে ৯০ পরবর্তী ৩০ বছরসহ প্রায় ৩৭ বছর ধরে জাতীয় পার্টির সাথে একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে যখন তারঁ বিখ্যাত “১৮ দফা” প্রণয়ণ করেন তখন হতেই বোরহান উদ্দিন মিঠু মূলত: এই দলটির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৮৩ সালে “ নতুন বাংলা ছাত্র সমাজ” এর সদস্য হন।বোরহান উদ্দিন যখন বৃহত্তর নোয়াখালীর অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ‘নোয়াখালী সরকারি কলেজের ‘বি.কম’-এ অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৮৬ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাজনৈতিক দল হিসেবে “জাতীয় পার্টি” গঠন করে এবং একই বছর জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত “জাতীয় ছাত্র সমাজ’ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় নোয়াখালী কলেজে “ জাতীয় ছাত্র সমাজ’এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।১৯৮৬ সালেই প্রথমবারের মতোই “জাতীয় ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে “ বোরহান-রেজাউল’ পরিষদে কলেজ ছাত্র সংসদে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ নির্বাচনে অংশ নেন।
৯০(নব্বই)পরবর্তী জাতীয় পার্টির চরম দূুর্দিনে ১৯৯১ সালে জেরা জাতীয় পার্টির সদস্য হন বোরহান উদ্দিন মিঠু এবং কিছুদিনের মধ্যেই জাতীয় পার্টির ‘ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক’ হন। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন, ২০১০-এ জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠিনক সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করে সংগঠনটিকে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন চড়াই লড়াইয়ের মাঝেও সংগঠিত করতে নিরলস কাজ করে যান। পরবর্তীতে দলের অনেকেই রাজনৈতিক স্বার্থ ও ফায়দা হাসিলে আগের মতোই জাতীয় পার্টি ত্যাগ করে অন্য রাজনৈতিক দলে যোগ দিলেও বোরহান উদ্দিন মিঠু একজন নিরলস কর্মীর মতো জাতীয় পার্টিকে আকঁড়ে ধরে থাকেন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী বোরহান উদ্দিন বলেন, দল থেকে যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবো।
Leave a Reply