প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৭, ২০২৪, ১২:৩১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৯, ২০২১, ৩:১৯ পি.এম
পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পিবিআই ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
প্রতিনিধি : তৌহিদুল ইসলাম সরকার,
কিশোরগঞ্জ সরকারী গুরুদয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র জুয়েল মিয়াকে হত্যা মামলার দায়িত্বরত পিবিআই ইন্সপেক্টর ধনরাজ দাসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ আগষ্ট রবিবার কিশোরগঞ্জে কালের নতুন সংবাদ কার্যালয়ে সকালে এ সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত জুয়েল মিয়ার মা ললিতা আক্তারসহ তার স্বজনরা।
নিহতের মা ললিতা আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, মামলায় দায়িত্বরত নেত্রকোনা পিবিআই ইন্সপেক্টর ধনরাজ দাস বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে এমনকি টাকা না দিলে তার স্বামী সাবিজ মিয়া ও তার মেয়ের জামাতা আবুল হোসেনকে
মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল কাটাবে। তারই জের ধরে গত ১৮ মার্চ তারিখে নেত্রকোনা পিবিআই অফিসে আমার স্বামী ও মেয়ের জামাতাকে আটক করে রাখে। বাধ্য হয়ে আমার ফসলি জমি বন্ধক রেখে গত ২০শে মার্চ ও ২৪শে মার্চ ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা নগত প্রদান করি। এমনকি অবশিষ্ট ১ হাজার টাকা ধনরাজের দেওয়া বিকাশ নাম্বার গত ০৫ এপ্রিল ০১৭১৮৮০১৫০৮নাম্বারে প্রেরণ করি। তারপরেও পিবিআই ইন্সপেক্টর ধনরাজ আমাদের পিছু ছাড়েনি। বিভিন্ন সময়ে এখনও আমাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে গত ২৩/০৫/২১ইং তারিখে ডিআইজি (পিবিআই) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি ও ২৩/০৬/২১ ইং তারিখে ডিআইজি পিবিআই ঢাকা অফিসে মস্তোফা (বিশেষ পুলিশ সুপার) এর নিকট সাক্ষাৎ করে অভিযোগ দেই। উক্ত বিষয়টি নেত্রকোনা পিবিআই ইন্সপেক্টর জানতে পেরে তার ব্যবহিত নাম্বার ০১৭১৮০৯৭৫২৩ দিয়ে আমার মেয়ের জামাতার ০১৭১৮৭৯৪৫১৩ নাম্বারে ফোন দিয়ে আশ্বস্ত করে বলেন আপনাদের পুরো টাকা ফেরত দিয়ে দিবো আপনি চলে আসুন। এলাকায় এসে স্থানীয় মেম্বার আবু হাশেমকে নিয়ে যোগাযোগ করেও কোন ফল না হওয়ায় গত ১ আগষ্ট নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নিহতের পিতা সাবিজ মিয়া ও আবুল হোসেন। অভিযোগকারী আরোও বলেন উক্ত কথা গুলোসহ ইন্সপেক্টরের যাবতীয় তথ্য আমাদের মোবাইলে রেকর্ড করা রয়েছে। এমনকি পিবিআই পুলিশ সুপারের সাথে টাকার বিষয়ে বিভিন্ন কথাও আমাদের কাছে রেকর্ড আছে।
বিষয়টি নিয়ে নেত্রকোনা পিবিআই ইন্সপেক্টর ধনরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি তার মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে দিয়েছি । টাকার বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি ফোন কেটে ফোন বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে নেত্রকোনা পিবিআই পুলিশ সুপারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার কাছে এ ধরনের কোনো মামলা নেই। কেউ যদি তাকে টাকা দিয়ে থাকে তা আমার জানা নেই।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy