রকসী সিকদার
ভ্রমণ পিপাসুদের প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রাঙ্গামাটির সাজেক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।সোমবার দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাজেকের ৯৪টি দোকান রেস্তোরাঁ বসতবাড়ি সহ পুড়ে ছাই।আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় সেনাবাহিনী,পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন কে। স্থানীয়দের অভিযোগ খবর দেওয়ার পরেও আসতে দেরি করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।বাঘাইছড়িতে ফায়ার সার্ভিস না থাকায় খাগড়াছড়ি সদর,পানছড়ি,দীঘিনালাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১১টি ইউনিট রওনা দিলেও সাজেকে পৌঁছতে প্রায় দুই,আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়।আগুনের সূত্রপাত কি ভাবে হলো এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার,শর্টসার্কিট কিংবা সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তেমন হতাহত না হলেও রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।এ ঘটনায় সাজেকে অবস্থান করা পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।পরে সাজেকে থাকা পর্যটকদের নিরাপদে খাগড়াছড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকেই প্রথমে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়।পরে আগুন বাকি রিসোর্ট,দোকান ও বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মণ জানান,আগুনে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতঘর, ২০টি দোকানঘর ও ৭টি রেস্তোরাঁ পুড়েছে।এসব রিসোর্ট,বসতঘর দোকান ও রেস্তোরাঁর কোনো মালপত্র রক্ষা করা যায়নি।খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন জানান আগুন বিকেল ৫টার দিকে নিয়ন্ত্রণে এলেও আগুন যাতে অন্যত্র ছড়াতে না পারে,সে জন্য আশপাশে পানি ছিটানো হয়েছে।সাজেক পর্যটন কেন্দ্র পাহাড়ের ওপর হওয়ায় পানি নিয়ে সংকটে পড়তে হয়েছে।কীভাবে আগুনের সূত্রপাত এখনই বলা যাচ্ছে না।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, সাজেকে সাময়িক সময়ের জন্য পর্যটক প্রবেশ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।
Leave a Reply