নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের বাধাঁ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৭ এপ্রিল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় জয়পুরহাট পৌর শহরের আমলতীতে জেলা প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রিফাত আমিন রিয়ন এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সাধারণত সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ,ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজরিন সুলতানা,ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন সদস্য রিফাতসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
জোটের ছাত্রনেতা রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর বক্তব্য চলাকালে পুলিশ এসে বাঁধা দিয়ে সমাবেশ বন্ধ করতে বলেছেন বলে জোটের এই ছাত্রনেতা অভিযোগ করেন।
সেই সাথে দাবী করেন,শ্রমিকেরা রমজানে বিকেল ৫ টার মধ্যে ছুটি, ইফতারের জন্য অর্থ বরাদ্দ, মাসের বেতন ৫ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান, যখন তখন ছাঁটাই বন্ধ এবং ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের আইনানুযায়ী সমুদয় পাওনা পরিশোধসহ ১০ দফা যৌক্তিক দাবিতে আজ সকালে যখন মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক করছিল তখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অফিস ঘরের বাইরে সমবেত শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের বর্বর হামলা, গুলিবর্ষণে ৫ জন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন।
বাঁশখালীর গন্ডামারায় শ্রমিক হত্যার ঘটনার সুষ্ঠূ তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান অর্থ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান।
Leave a Reply