1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
পেঁয়াজ আমদানিতে নীতিমালা শিথিল
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

পেঁয়াজ আমদানিতে নীতিমালা শিথিল

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩.১১ পিএম
  • ২৬১ বার পঠিত

তৌহিদ আহমেদ রেজা: পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান বৈদেশিক মুদ্রা নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানির বিদ্যমান এলসি মার্জিন প্রত্যাহার করে ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রয়োজনে এক টাকাও আগাম পরিশোধ না করে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। বর্তমানে ১০০ টাকার পেঁয়াজ আমদানি করতে কমপক্ষে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পরিশোধ করতে হয় ব্যবসায়ীদের। এ দিকে প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পর বিকল্প বাজার হিসেবে ৬ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- চীন, মিয়ানমার, মিসর, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তান। বেসরকারিভাবে আমদানিকারকরা ওই সব দেশ থেকে আমদানির জন্য ১০১টি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি করতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মার্জিন দিতে হয়। মার্জিন হলো, কোনো পণ্য আমদানি করতে আমদানিকারকদের কী পরিমাণ অর্থ ব্যাংককে আগাম শোধ করতে হবে তার হার।

বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী বর্তমানে মোট এলসি মূল্যের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অর্থ আমদানিকারককে দিতে হয়। বাকি অর্থ পেঁয়াজ আসার পর পরিশোধ করতে হয়। বর্তমানে পেঁয়াজের মূল্য কারসাজি বন্ধে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের এলসি মার্জিন প্রত্যাহার করার সুপারিশ করেছিল। এ বিষয়ে গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মুল্য বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও পেঁয়াজের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পেঁয়াজের নতুন মৌসুম আসতে এখনো ৬ মাস বাকি। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে নতুন দেশী পেঁয়াজের জন্য। এ সময়ে মধ্যে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ১১ লাখ টন। বর্তমানে মজুদ আছে ৫ লাখ টন। পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে ৬ লাখ টন। ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে এ ৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে ১০১টি পত্র ইস্যু করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে অনুমতি পেয়ে ৩০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৪০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসবে। পর্যায়ক্রমে আরো বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews