হাবিবুল্লাহ পেকুয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউপির নোয়াখালী পাড়ায় জমির বিরোধীয় বিষয় নিয়ে স্থানীয় সালিশে দেওয়া স্বাক্ষর করা
খালী নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ফেরত চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী ছৈয়দ আহমদ। যার মামলা নং-এম.আর-১৬৭১/২০২১ইং ফৌঃকাঃবিঃ ৯৮ধারা।
মামলার এজাহারসূত্রে জানাযায়, পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউপির নোয়াখালী পাড়ার বাসিন্দা মৃত বশরত আলীর পুত্র ভুক্তভোগী ছৈয়দ আহমদ এর সাথে একই এলাকার মৃত তাজুর মোহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ জুবাইরের
সাথে বিগত ২বছর ধরে জায়গাজমির বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গত বছর স্থানীয় মোক্তার আহমদ ও ফোরকান সহ গনমান্য ব্যক্তিদেরকে বিষয়টি অবগত করলে উভয়পক্ষ কে নিয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শালিসি বৈঠকে বসেন। শালিসি বৈঠকে বিচার মানার কথা বলে উভয় পক্ষ থেকে তিন শত টাকার নন জুডিসিয়াল খালি স্ট্যাম্পের শিরোভাগে দস্তখত গ্রহণ করেন তারা। যার নং ১০০৯০/১০০৯১/১০০৯২।
বৈঠকে বলা হয়েছে বারবাকিয়ার মৌজা বি.এস.-১৫৯ নং খতিয়ানের হতে সৃজিত বি.এস- ৪৭১২ নম্বর দাগের জমি সংক্রান্তে সৃজিত বি.এস.-২৫৭২ ও ৩৮৩১ নম্বর খতিয়ান বাতিল হয়েছে বলে দাবী করে মামলার বিবাদী জুবাইর। তাকে জমির দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য একতরফাভাবে
শালিসি রোয়েদাদ প্রদান করেন স্থানীয় বিচারকরা। বৈঠকে শালিসকারকরা সব দিক থেকে বিবেচনা করে মোহাম্মদ জুবাইর ও ছৈয়দ আহমদ কে বলেন উল্লেখিত খতিয়ানের ২৫৭২ -৩৮৩১ বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত না হলে এই স্ট্যাম্পটি আমরা দুই পক্ষে বসে স্থানীয় শালিসের আপোষ নামা দিয়ে সাক্ষরিত স্ট্যাম্পটি ছৈয়দ আহমদ কে ফেরত দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী ছৈয়দ আহমদ বলেন, আমার কাছ থেকে খালি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে শর্তসাপেক্ষ স্বাক্ষর করে। শর্ত ছিল ২৫৭২ ও ৩৮৩১ নং খতিয়ান বাতিল হয় নাই এটা প্রমাণ করতে পারি তাহলে আমাকে স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প ফেরত দিয়ে দিবে।
কিন্তু আমি গত ৪/৫ মাস আগে খতিয়ান বাতিল হয় নাই এটা প্রমাণ করেছি। এটা আমি বিচারককে জানানোর পরও তারা আমাকে স্ট্যাম্প ফেরত না দিয়ে জুবাইর থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে স্ট্যাম্পটি লিখিত আকারে জুবাইরের পক্ষে রায় দে। এতে প্রতিকার ও স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য বিজ্ঞ আদালতের শরনাপন্ন হয়ে চলিত বছরের ২৫শে আগষ্ট বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানা পুলিশকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার ২ মাস অতিবাহিত হলেও অদৃশ্য কারণ এখনো পর্যন্ত সরেজমিন তদন্ত করতে যাচ্ছেন না পেকুয়া থানা পুলিশের দায়িত্ব প্রাপ্ত এ কর্মকর্তা।
স্থানীয় বিচারক মোক্তার আহমদ বলেন, আমি এই শালিসের বৈঠকে দুই পক্ষে সম্মুখে নন জুডিসিয়াম খালি স্ট্যাম্প স্বাক্ষর নিয়েছি।
তারা সঠিক তথ্য ও খতিয়ানে বৈধতা প্রমান করতে পারলে আমি স্ট্যাম্প ফেরত দিয়ে দিবো বলেছি। জুবাইর আমাকে বলছে খতিয়ান বাতিল হয়েছে তাই আমি খালি স্ট্যাম্পটি জুবাইরের পক্ষে পূরণ করে জুবাইরকে দিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানা এস আই আশরাফের ব্যবহৃত মুঠোফোনে অনেক বার কল দিলেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy