নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের সামনের সড়কে ধর্ষণবিরোধী কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের লাঠিপেটায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেত্রী আসমানি আশা, মহানগর কমিটির সদস্য মাহমুদা দীপা ও ধানমন্ডি শাখার সভাপতি সাজ্জাদ শুভকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ধর্ষণবিরোধী মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সন্ধ্যায় মশাল মিছিল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি বলেন, ‘মিছিলে হামলা করে ধর্ষণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে গণজোয়ার সৃষ্টি করে দেশ থেকে ধর্ষণ শব্দটি মুছে দিতে চাই।’
এর আগে নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানিসহ সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার বিচারের দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জড়ো হন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনসহ শিক্ষার্থীরা।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ লেখা ব্যানারে ‘ধর্ষক লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও/আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের হবে না’ স্লোগান দিতে থাকেন।
এছাড়া সারাদেশে ধর্ষণ প্রতিরোধ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ গণজমায়েত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।
এরপর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অনুযায়ী শাহবাগ মোড় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে পুলিশ বাধা দেয়।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy