আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
লকডাউন ও ঈদ পূর্ববর্তী মানুষের নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার আকুতি ও জরুরি প্রয়োজনকে টার্গেট করে এক শ্রেণীর দুর্বৃত্তের আবির্ভাব হয়েছে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় কম ভাড়ায় যাত্রী হিসেবে তুলে নেয়। তার পর সুযোগমত হাত পা বেঁধে চালায় অবর্ননীয় শারীরিক নির্যাতন।
পারিবারিক সক্ষমতা অনুযায়ী দাবি করে মুক্তিপণের টাকা। সেই সঙ্গে ওই সঙ্গে থাকা টাকা ও পণ্যও হাতিয়ে নেয় তারা। মানিকগঞ্জ পুলিশের তৎপরতায় এই চক্রের তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
The Daily surjodoy
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে এক বা একাধিক চক্র ঢাকা আরিচা মহাসড়কে ভাড়া করা প্রাইভেটকার নিয়ে যাত্রী তুলেন। এর পর ওই যাত্রীর কাছ থেকে সবকিছু লুট করে ও আটকিয়ে রেখে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে। এর ওই ব্যক্তিকে নামিয়ে দেওয়া হয় কোন নির্জন স্থানে।
সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার মোঃ ফারুক হোসেন (৪৩) এক ভিকটিম আসেন মানিকগঞ্জ থানায়। অভিযোগকারী শিক্ষক উক্ত ব্যক্তি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে রাজবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেটকারে উঠেন।
Surjodoy.com
উঠার পরপরই পাশের সিটে যাত্রীবেশে থাকা দুর্বৃত্তরা তার হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করে দাবি করে লক্ষাধিক টাকার। পৃথক দুটি বিকাশ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের পরই তার মুক্তি মেলে। উক্ত ঘটনার অভিযোগ পেয়ে দ্রুত মামলা রুজু করে মানিকগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে রোববার রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
এরা হলেন, যশোরের অভয়নগর এলাকার মোস্তাহিন শেখের ছেলে মোঃ আবুল বাশার (৪২), নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার জব্বার শেখের ছেলে মোঃ আলীম হোসেন শেখ (৩৫) ও পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার ইন্তাজ প্রামানিকের ছেলে বাবর আলী বাবু (৩২)।
প্রত্যেকই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও তাদের হেফাজত থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেট কার, লুন্ঠিত টাকা, স্টিলের পাইপ ও রশি দড়ি উদ্ধার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন হাইওয়েতে এধরনের অপরাধ করছিলেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। সোমবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে তোলা হয়। এরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
Facebook, Twitter share
অপর দিকে দৈনিক ইত্তেফাকের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম সুজন জানান, গত ২রা মে রাতে নবীনগর থেকে মানিকগঞ্জে আসার পথে ওই চক্রের কবলে পড়েন। ওই চক্রের সদসরা তাকে মারধর করে টাকা পয়সা মোবাইল সেট ও অ্যাক্রিডেশন কার্ড নিয়ে যায়। এব্যাপারের তিনি আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।