নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুরা প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে এক বছর পড়াশোনা করে। এ নিয়ম পরিবর্তন করে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির মেয়াদকাল আগামী বছর থেকে দুই বছর করতে যাচ্ছে সরকার। অর্থাৎ চার বছর বয়স থেকেই শিশুদের এই শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে।
আজ শুক্রবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি দুই বছর মেয়াদী করার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আগামী বছর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে তার বাস্তবায়ন শুরু হবে। ইতিমধ্যে আমরা কনসেপ্ট ডেভেলপ করেছি, সেখানেই বলা আছে কীভাবে কী করব। আগামী সোমবার একটি ভার্চুয়াল সভা করে আমরা প্ল্যান চূড়ান্ত করব।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন শ্রেণি যুক্ত করে পরীক্ষামূলকভাবে ২০২১ সালে দেশের দুই হাজার ৫৮৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করবে সরকার। আর এ কার্যক্রমে সফলতা এলে ২০২৩ সাল থেকে সব বিদ্যালয়েই ‘শিশু শ্রেণি’ চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নতুন ‘শিশু শ্রেণি’ চালুর সিদ্ধান্তে দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন একজন করে শিক্ষক ও একজন করে আয়া নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর চার বছর বয়সেই শিশুরা নতুন শেণিতে ভর্তি হতে পারবে এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে নতুন শ্রেণিকক্ষ তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে পরিকল্পনায়।
বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে পড়ালেখা করছে পৌনে দুই কোটি শিশু। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৬২০টি। ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করে সরকার। ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি এই শ্রেণি চালু করা হয়। জাতীয় শিক্ষানীতিতে পর্যায়ক্রমে দুই বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর কথা বলা আছে।