ডেস্ক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পদে জাতীয় কোটা তুলে দেয়া হয়েছে। তবে বহাল থাকছে অভ্যন্তরীণ কোটা। এরইমধ্যে সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করায় সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিলের শর্তে সোমবার অভ্যন্তরীণ কোটা রাখতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের সব কোটা বাতিল করা হয়েছে। কোটাগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা। এখন সহকারী শিক্ষকদের যোগদানকালেই ১৩তম গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় কোটা বাতিল করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল থাকছে। এগুলোর মধ্যে আবার প্রতিটিতে ২০ শতাংশ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কোটা অনুসরণ করা হবে।
এদিকে, চলতি মাসেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ওই সূত্র বলছে, সহকারী শিক্ষকের পদটি ১৩তম গ্রেড হওয়ায় এবার জাতীয় কোটা বাতিল হলেও শতভাগ অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল থাকছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ১০ হাজার শূন্যপদে (কম-বেশি) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।