এস এম জীবন
রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে এমনকি জেলা শহরেও গড়ে উঠছে নামে-বেনামে বেকারি ও ফাস্টফুড এর দোকান। যেখানে তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত মানহীন অস্বাস্থ্যকর খাদ্য সামগ্রী।এবার প্রান গ্রুপের মিঠাই এর বিরুদ্ধে মানহীন অস্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও কোমলমতি শিশুসহ প্রায় সব বয়সী মানুষের প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে বেকারি ও ফাস্টফুড এর খাদ্য সামগ্রী । তবে বেশিরভাগ বেকারি ও ফাস্টফুডের তৈরির সামগ্রীও ভেজাল পণ্য, নিরাপদ মনে করে বিষ কিনে খাচ্ছেন কি সাধারণ মানুষ।
আজ রোববার মিরপুর ১১ তে মিঠাই মিষ্টান্ন থেকে রেজওয়ান নামের একজন ব্যবসায়ী চিকেন পেটিস ২পিছ ১৬০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন নাস্তার জন্যে । একটা পেটিস ভালো পেলেও অন্যটিতে একবার মুখে দেওয়ার পর কালো শেওলা, বাসি দুর্গন্ধযুক্ত পান ।একই পন্য যেখানে ৩০/৪০ টাকায় পাওয়া যায় অন্য বেকারীতে সেখানে দ্বিগুণ দামে অস্বাস্থ্যকর পণ্য খেয়ে বিব্রত হয়েছন জৈনক রেজওয়ান। তিনি বলেন একটি নামি-দামি গ্রুপ কোম্পানির এতো বাজে পন্য সামগ্রিই উৎপাদন হয় তা মেনে নেওয়ার মতো না কর্তৃপক্ষের সঠিক মনিটরিং না থাকায় এই অবহেলার শিকার হলেন তিনি। তিনি এখন যে পেটিস খেয়েছেন তা অত্যন্ত স্বাস্থ্যঝুকির কারণ বলে মনে করেন
তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমি কিডনি রোগী, আমার ৫২% কিডনি ড্যামেজ, আমার ভাজা পোড়া খাওয়া তেমন হয়না, শখ করেই আজ খেতে গিয়েছিলেন।
কিছুটা খেয়ে বমি করে দিয়েছি, আমি এখন চিন্তিত কিছু না হয়ে যায়। আমার শারীরিক খতির জন্য তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছি তারা দিতে পারেনি উল্টো আমাকে ২ ঘন্টা বসিয়ে রেখেছেন। দামি ব্রান্ড হয়েও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে নতুন বাংলাদেশে নিন্মমানের খাদ্য পরিবেশন ও পরিচালনা করছেন কিভাবে তারা ?তিনি সঠিক বিচারের প্রত্যাশা করেন।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকির অভাব আছে কিনা প্রশ্ন রাখেন।
এ বিষয়ে পল্লবী থানাধীন ৭নং সেকশনের ৭নং রোডে ৮নং প্লটের মিঠাই আউট লুক ম্যানেজার মনিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক,তবে ভবিষ্যতে আর যেন এরকম না হয় সেটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
রিজিওনাল ম্যানেজার ( আর এম ও) জনাব নাসির বিষয়টি দুঃখজনক বলে প্রকাশ করেন তবে কোন সমাধান দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে আরো জানতে প্রাণ গ্রুপের গণযোগাযোগ কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি তিনি অফিসিয়াল ভাবে জানতে পেরেছেন তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সঠিক বিষয়টি লেখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এবং বলেছেন তিনিও সাংবাদিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।