নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে কলেজ পড়ুয়া আদিবাসী এক মেয়েকে (১৬) নিয়ে উধাও হয়েছে মুসলমান এক যুবক (২২)।প্রেমের টানে আজ ৬দিন ধরে মেয়েটিকে নিয়ে লাপাত্তা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুসলমান ধর্মের ছেলে ফরহাদ আর আদিবাসী কোচ গোত্রীয় মেয়ে ইতিরানী। সম্পর্কের এক পর্যায়ে মেয়েটিকে নিয়ে লাপাত্তা মুসলিম ঐ ছেলেটি। ইতি রানী (১৭) ঘাটাইল উপজেলার মালিরচালা গ্রামের জীবন চন্দ্র দাশের মেয়ে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বলে অভিযোগ মেয়েটির পরিবারের। খোঁজাখোঁজির পর সন্ধান না পেয়ে মেয়ের ভাই সঞ্জিত বর্মন বাদি হয়ে ঘাটাইল থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান,মেয়েটি স্থানীয় কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। সংসারের টানাপোড়েনে ভালুকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরীর সুবাদে পরিচয় হয় একই প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ওই যবকের সাথে। ছেলেটি একবার মেয়ের বাড়িতেও এসেছিলো বলে জানান তারা।
স্থানীয় আব্দুস সালাম লিটন ভূঁইয়া বলেন, মেয়েটি আদিবাসী ও গরীব ঘরের হওয়ায় করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে সাগরদিঘী কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়াশুনার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ভালুকায় থানায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেয়। চাকরির সুবাদে মেয়েটির সাথে ঐ ছেলেটির সম্পর্ক হতে পারে। শুনেছি ঐ ছেলেটি একবার মেয়েটির বাড়িতেও এসেছিলো। আমরা ফ্যাক্টরিতে খোঁজ নিয়ে দেখেছি,ইতিরানীকে যেদিন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না সেদিন থেকে ঐ ছেলেটিও কাজে অনুপস্থিত।
মেয়েটির বড় ভাই সঞ্জিত কুমার আক্ষেপ করে বলেন,আমরা আদিবাসী মানুষ। আমার বোনকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে ফরহাদ। আমাদের জাতের হলেও কথা ছিলো এখন আমরা কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। যেদিন থেকে বোনকে পাওয়া যাচ্ছে না সেদিন থেকে ছেলেটিও কাজে অনুপস্থিত। আমরা এতে নিশ্চিত হয়েছি ওই ছেলের সাথেই পালিয়েছে।
স্হানীয় হিন্দু বৈদ্য খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃপরিমল চন্দ্র জানান,বিষয়টি আমি শুনেছি।তবে মেয়ের পরিবার থেকে আমাদের এখনো জানায়নি।আমাদের কাছে আসলে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাগরদিঘী তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক সুরুজ্জামান বলেন,আমরা তথ্য -প্রযুক্তির মাধ্যমে ফরহাদ নামের ছেলেটির মোবাইল নম্বর (০১৬৪২-০৬২৮৫৭) ট্যাগ করে দেখেছি। সর্বশেষ বাঘেরহাট জেলার কচুয়া থানায় তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে মোবাইলটির সুইচ অফ। তবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।