ফেসবুক মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে যুবক ইয়াসির রাতুল। এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় দেখা করত। মাঝে মাঝে দূরে ঘুরতেও যেত। দেখা করার সময় ও ঘুরতে গিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত রাতুল।
যৌন সম্পর্কের সময় মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণ করত। তাও প্রেমিকার মোবাইলে। পরে ঘুরে এসে বিদায় দেওয়ার শেষ মুহূর্তে কৌশলে প্রেমিকার মোবাইল নিয়ে সটকে পড়ত রাতুল। প্রেমিকার মোবাইলে থাকা একান্ত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হতো।
এভাবে বার বার যৌন সম্পর্ক স্থাপনে এবং টাকা পাঠাতে বাধ্য করত। অবশেষে এক তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটর থেকে রাতুলকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এ সময় তার কাছ থেকে ১০টি সিম, চারটি ফেইক ফেসবুক আইডি এবং ৯টি জিমেইল একাউন্ট জব্দ করা হয়। গতকাল সিআইডির সাইবার ক্রাইম শাখার এসপি রেজাউল মাসুদ জানান, গ্রেফতার রাতুলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে।
সে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। সে প্রথমে মিরপুরে এক রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে ‘টি-বয়’ হিসেবে কাজ করত। পরে মোহাম্মদপুর রিংরোডে এক শো-রুমে সেলসম্যানের চাকরি নেয়। কিন্তু চাকরি ছেড়ে দিয়ে ‘যৌন ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো’ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। গত ৬ মাস ধরে রাতুলের সঙ্গে এক ভুক্তভোগীর পরিচয়।
সেই সুবাদে তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখা করত। এক দিন ওই ভুক্তভোগীকে চাঁদপুর যাওয়ার প্রস্তাব দেয় রাতুল। পরে সেখানে ঘুরতে গিয়ে লঞ্চে দুজন যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। একান্ত মুহূর্তের সেই দৃশ্য ওই তরুণীর মোবাইল দিয়েই ধারণ করা হয়। পরে তারা সদরঘাটে এসে নামার সময় রাতুল তার প্রেমিকাকে বলে, তার ফোনে টাকা নাই, একজনকে কল দিতে হবে। এই বলে প্রেমিকার মোবাইল নিয়ে ছটকে পড়ে রাতুল। পরে প্রেমিকার ফেসবুক আইডি দখলে নিয়ে এবং ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে প্রেমিকাকে ও তার বাবা-মাকে কল করে টাকা চায়। রাতুলের কাছ থেকে ১০ ভুক্তভোগীর ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।