প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৪, ২০২৪, ৯:৪০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ৪:০২ পি.এম
পড়াশুনার পাশাপাশি ঢাবির নারী উদ্দোক্তারা
ছোটবেলা থেকেই অনেকের মনে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন উঁকি দেয়। পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বসে চেষ্টা ও আন্তরিকতা নিয়ে লেগে থাকলে উদ্যোক্তাও হওয়া যায় সফলভাবে। পড়াশোনার কোনো রকম ক্ষতি না করেই হাত খরচের টাকা উপার্জন হয়ে যায় খুব সহজেই। তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগে সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরেছেন মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।
ছোটবেলা থেকেই মেহেদীর প্রতি ছিলো অন্যরকম এক ভালোবাসা। চাঁদরাতে আম্মু মেহেদী কিনে দেওয়ার পরই শুরু হয়ে যেতো আমার ঈদ। নিজেরটা নিজেই দিতাম, সেইসাথে ছোট বোনদেরকে ও দিয়ে দিতাম। ভার্সিটিতে প্রথম বর্ষে থাকাকালীন ঈদের পর হাতের মেহেদী দেখে ক্লাসমেটরা পছন্দ করে দিতে চাইলে অনেককেই দিয়ে দিলাম ফ্রিতেই। এরপর সবার উৎসাহে কিছু না ভেবেই ২০১৯ সালের ২২ জুলাই আমি একটা পেইজ খুলে ফেলি! একমাস পরই আমার বুকিং আসতে শুরু করে। নভেম্বের থেকে জানুয়ারি মাস তো ব্রাইডাল সিজন, প্রচুর ব্যস্ত সময় পার করতে হয় তখন। বিভিন্ন ইভেন্টে কাজ করার জন্যে ছোট্ট একটা টিম ও আছে আমার। মেহেদীর প্রতি ভালোবাসা থেকে অনেক রিসার্চের পর একজন হেনা আর্টিস্ট এর পাশাপাশি আমি এখন একজন কেমিক্যাল ফ্রি অর্গানিক হেনা সাপ্লাইয়ার। দেশ পেরিয়ে সুদূর নিউইয়র্কে ও পাড়ি জমিয়েছে আমার মেহেদী। কিছুদিনের মধ্যে চুলের জন্য হারবাল হেনা ও আসছে আমার পেইজে। আর আমার এতদূর আসার পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার আম্মু আর ছোট বোনদের। ইনকাম করা কখনই প্রধান উদ্দেশ্য ছিলনা, বাংলাদেশের হেনা ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় বড় আর্টিস্টদের সাথে অনেকে যখন আমার নামটাও বলে, সেখানেই আমার সার্থকতা।
সৈয়দা আফসারা তাসনিম ঐশী
স্বত্তাধীকারী, Mehedi_Art by Oishi
অনেকদিন ধরেই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ইচ্ছা ছিল, হাতে সময়ও ছিল কিন্তু কী নিয়ে কাজ করবো বুঝতে পারছিলাম না। অনেক দোটানার পর সিলেটের মেয়ে হওয়ার সুবাদে মনিপুরী শাড়ি আর ওড়না নিয়ে কাজ করাটাই শ্রেয় মনে হলো। তাই আর দেরি না করে শুরু করে দিলাম আমি আর আমার বান্ধবী রুকাইয়া সালিহা নুসরাত এই স্বপ্নপূরণের যাত্রা। মনিপুরী কাপড় আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে অনেককাল ধরে। তাঁতিরা হাতে তৈরি করেন বলে একটি শাড়ি তৈরিতেই বেশ কয়েকদিনও সময় লেগে যায়। নিপুণ সুতোর কাজ কোনোটিতে কম আবার কোনোটিতে বেশি হয় যার উপর শাড়িগুলোর দাম নির্ভর করে। কাপড়গুলো তৈরি করার পর এগুলোতে মাড় দেয়া হয়, এতে অনেক সময় কাপড়ে মাড়ের দাগ থাকতে পারে এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
জোহরা মাহজাবীন সৃষ্টি
উদ্দোক্তা, NusTy
শুরুটা ছিল আকস্মিক। লকডাউনে ঘরে বসে সময় নষ্ট করতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল কিছু একটা করে সময়টা কাজে লাগাব। টুকটাক আঁকিবুঁকি শুরু করলাম, রান্নার হাতটা ঝালাই করে নিলাম তবুও মনে হচ্ছিল সময়টা বুঝি বিফলে যাচ্ছে। হুট করে একদিন মনে হলো ফেব্রিক পেইন্টিং এর কথা। আম্মু রং কিনে দিলো। এরপর যেন আমার ভেতরের সুপ্ত কিছু জেগে উঠল। একের পর এক পেইন্ট করতে থাকলাম ছোটো ছোটো কাপড়ে। সবার উৎসাহে সাহস করে পেইজটা খুলে ফেললাম- আমার ভালোবাসার কলাকুঠরি। কুর্তি, ব্লাউজ, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি ইত্যাদি পোশাক, কুশন, কাঠের কিছু গহনা তুলির আঁচড়ে রাঙাই। রঙের মায়া ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসি। তুলির প্রতিটি আঁচড় যেন আমার অনুভূতিগুলো প্রকটভাবে প্রকাশ করে। ফেব্রিক পেইন্টিং শখ থেকে কখন যে প্যাশন হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। প্যাশন নিয়ে কাজ করছি বলে খুব প্রশান্তি কাজ করে।
মোছাঃ রেজওয়ানা শারমিন স্বর্না
উদ্যোক্তা, kolakuthori - কলাকুঠরি
পথচলার একবছর হতে চলল । শুরুটা হুট করে হলেও প্লান ছিল অনেক দিনের কি করবো, কিভাবে সাজাবো তা নিয়ে। ছোটবেলা থেকে আঁকিবুঁকি আর ক্রাফটিং এর প্রতি ছিল অন্যরকম একটা ভালোবাসা, সাথে ছিল কিছু করার একটা ইচ্ছা; এই দুই সমীকরণ মিলিয়েই যাত্রা শুরু করলাম। একসাথে অনেক কিছু নিয়েই আমাদের কাজ। হ্যান্ডপেইন্ট, গহনা, এমব্রয়ডারি, পেপার ক্রাফট। মেয়েদের জিনিস ছাড়াও নতুন ভাবে আমরা কাজ করছি ছেলেদের পাঞ্জাবি নিয়ে।
জেরিন তাসনিম দিশা
উদ্দোক্তা, Winter berry
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy