ফারহানা বি হেনাঃ
আসন্ন ১১ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ফটিকছড়ি উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বিপাকে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দল থেকে বহিষ্কারের হুমকিতেও অটল রয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন এমন কথা বললেও তারা সমস্যার তৈরি করবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থী। জানাগেছে ফটিকছড়ি উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটিতে ২ থেকে ৩ জন করে নৌকার বিরোধীতাকারী বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
দল থেকে হুশিয়ারি দিয়েও দমানো যাচ্ছে না বিদ্রোহীদের। এদের অনেকেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবেই নির্বাচনে প্রচারণা হিসেবে উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।ফটিকছড়ি উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অনেককেই উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সরাসরি উন্মুক্তভাবে নির্বাচনী কার্যকলাপে সহযোগিতা করছেন।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নৌকার প্রার্থীরা মনে করছেন এই মূহুর্তে এসকল বিদ্রোহী প্রার্থী দের দমন করা না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আদলে অংশ নেয়া জামাত-বিএনপির মনমানষিকতার প্রার্থীরা জয়ী হয়ে গেলে ভবিষতে দলের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াবে। এ ব্যাপারে মাহাবুবুল আলম হানিফ দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন,
আশাকরছি বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবেন।এসময় তিনি আরো বলেছেন, যেসব নেতা-কর্মীরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মনে করছেন,
বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগের ওপর অনেক বড় প্রভাব হয়তো পড়বে না। কিন্তু কিছু বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে গেলে তার ফলে দলের প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে।
প্রশ্ন উঠবে যে জনপ্রিয় প্রার্থীদেরই কেন মনোনয়ন দেয়া হলোনা। তখন দেখা যাবে যে স্থানীয় অনেক প্রভাব সেখানে কাজ করছে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারের যে কথা বলা হচ্ছে সেটিকে একটি ড্যামেজ কন্ট্রোল প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখছেন অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।