ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :
চটগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার ২য ধাপে ১৪ ইউপি নির্বাচন খুব জল্পনাকল্পনা, উত্তেজনা ও সহিংসতা মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার ভোট গ্রাহণ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার লেলাং ইউপির দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মো: শফি নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে এম আর সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ফুটবল প্রতিকের মোরাদ ও মোরক প্রতিকের জামার পাশার সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে, এতে অন্তত ৯-১০ জন আহত হয়েছে, এদিকে বিভিন্ন স্থানে পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ১২ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৭ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫ জন জয়ী হয়েছেন।
উপজেলার বাগান বাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদত হোসেন সাজু, দাতঁমারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জানে আলম, নারায়ণহাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাপর মাহামুদ, হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী, পাইন্দং ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছরওয়ার হোসেন স্বপন, কাঞ্চন নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী দিদারুল আলম, সুন্দরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, রোসাংগীরি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোয়েব আল সালেহীন, সমিতিরহাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হারুন অর রশিদ ইমন, ধর্মপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হক, জাফতনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়া উদ্দিন জিয়া নির্বাচিত হয়েছেন।
আব্দুল্লাহপুরে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওহিদুল আলম।
লেলাং ও বখতপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর রিট-আপিল জটিলতায় চেয়ারম্যান পদে ৬ সপ্তাহ হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত রেখেছে।