রানী আহম্মেদ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলের রায় প্রত্যাহার করে পুনঃশুনানির বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃতাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ রোববার ছয় সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। কাজী ফিরোজ রশিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম কে রহমান।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক জুলফিকার আলী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৫১ সালের ৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে অবস্থিত এক বিঘা সরকারি জমিসহ বাড়ি (প্লট নম্বর-১০, বাড়ি নম্বর-৬৫), যা তৎকালীন কানাডার হাইকমিশনার মোহাম্মদ আলীর অনুক‚লে বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে মরহুম মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী, ছেলে সৈয়দ মাহমুদ আলী ও মেয়ে সৈয়দা মাহমুদা আলীর নামে হস্তান্তরে অনুমতিসহ ১৯৭০ সালের ৩০ মে নামজারি করা হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ১৬ আগস্টে কাজী ফিরোজ রশীদ রেজিস্ট্রি করা ডিড অব এগ্রিমেন্ট ফর সেল নম্বর- ৩১১৫৪ দলিলে ভুয়া দাতা বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী ও সাক্ষী কাজী আরিফুর রহমান সাজিয়ে ও কাগজপত্রে দেখিয়ে ওই সময়ের তৎকালীন জেলা রেজিস্টার এম আহমেদের সহযোগিতায় ওই সম্পত্তি দখল করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এজাহারে ঘটনার সময়কাল ধরা হয়েছে ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট থেকে একই বছরে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।
২০১৭ সালে এই মামলাটি বাতিল চেয়ে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন কাজী ফিরোজ রশিদ। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট মামলা বাতিল করে রায় দেন। কিন্তু এরপর ওই রায়ের লিখিত কপি প্রকাশের আগেই আরও কিছু আইনগত তথ্য ও যুক্তি তুলে ধরে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। শুনানি শেষে চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আগের দেওয়া রায় বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করে পুনঃশুনানির দিন ধার্য করেন। এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন কাজী ফিরোজ রশীদ। রোববার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়।