ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ'লীগ নেতা মো. মানিক রতন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২৩ অক্টোবর বিকালে ফৌজদারি অপরাধে তার বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।মামলা নং ৮/ ১৫৪।
ওই দিন বিকালে তাকে আদালতে সোর্পদ করা হলে, আদালত ধৃত মানিক রতন কে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।একই ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে মানিক রতন উপজেলা আ'লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ৩ নং কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর স্থানীয় জনগণের প্রতিবাদ প্রতিরোধে মানিক রতন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বসতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী মো. রুহুল আমিন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, বিগতদিনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মানিক রতনের ছত্রছায়ায় ফিজার ও মেহেদুল গং কাজিহাল ইউনিয়নের নারায়ণ মাধব গ্রামের মামলার বাদী রুহুল আমিন এর ছেলে জুয়েলের পুখুরী মোড়ের দোকান থেকে জোরপূর্বক বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যেত।৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরেও পূর্বের নেয় ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টায় পেট্রোল নিতে আসলে জুয়েল তাদের পূর্বের পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। পূনরায় রাত ১০ টায় মানিক রতনের হুকুমে অভিযুক্ত অন্যান্যরা বেআইনি ভাবে দোকানে প্রবেশ করে জুয়েল কে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। সে সাথে দোকানের মালামাল সহ দু'লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।

এ ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির- উল্লেখিত  ১৪৩,৪৪৮,৩২৩,৩২৪,৩২৬,৩০৭,৪২৭,৫০৬,১১৪ ধারার অপরাধে অজ্ঞাতনামা সহ ১১ জনের নামে এ মামলা রুজু হয়।মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন -মো. লিয়াকত আলী, বেলাল হোসেন,মো. ফিজার রহমান, মো. মেহেদুল ইসলাম, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. সোহেল, মো. ছাকুরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন বুদু,সাদ্দাম হোসেন রাব্বী,সবুজ।
এ মামলার ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল।