আশিকুর রহমান আশিক বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের বাসিন্দা ফুলচাঁদ বিশ্বাস (৪৭)। সম্পদ বলতে আছে বাবার রেখে যাওয়া দুই শতাংশ জমিতে জরাজীর্ণ একটি বাড়ি। দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এখন ৫ সদস্যের পরিবারে আছে বিধবা মা, স্ত্রী, শিশুপুত্র, শিশুককন্যা। কঠোর পরিশ্রম করে কোন রকমে সংসারের খরচ চালাতো সে। কিন্তু হঠাৎ একদিন ব্রেইন স্টোক হয় তার। প্রাণে বেঁচে গেলেও অবশ হয়ে গেছে ডান হাত ও ডান পা। কথাও বলতে পারেন না স্পষ্ট ভাবে। ভাঙ্গা গলায় জানালেন, সুস্থ হয়ে আবারও স্ত্রী, সন্তান ও মায়ের ভরণ পোষনের দায়িত্ব নিতে চান তিনি। একসময় যার আয়ে সংসার চলতো সেই ফুলচাঁদই এখন সংসারের বোঝা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছে গোটা পরিবার। অন্যদের কাছে ধার দেনা ও সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে কোনমতে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে তার পরিবার। ফুলচাঁদের সুচিকিৎসার জন্য আরও অনেক টাকার প্রয়োজন। ফুলচাঁদের ছোট ভাই সুখচাঁদ বিশ্বাস বলেন, আমরা দুই ভাই সামান্য পুঁজি নিয়ে মাছের ব্যবসা করি। দাদা হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় তার চিকিৎসার খরচ যোগাতে ব্যবসার মুলধন শেষ হয়ে গেছে। আমারও ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন টাকার অভাবে দাদার চিকিৎসা করতে পারছি না। অন্যদিকে রোজগার না থাকায় দাদা,বৌদি, ভাইপো,ভাইজি, স্ত্রী, সন্তান ও বিধবা মাকে নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমি সরকারি বেসরকারি সহায়তার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছেও ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য সহায়তা প্রদানের আকুতি জানান তিনি। তার বিকাশ নম্বর ০১৭৮৩২০৯৪৩২।
ফুলচাঁদের অসুস্থতার কারণে গোটা পরিবারের মানবেতর জীবনযাপনের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মাখন চন্দ্র সেন বলেন, ফুলচাঁদ সুস্থ হলে এ পরিবারের এমন দুর্দশা থাকবে না। এখন তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা জরুরী। পরিবারের লোকজনের পক্ষে তার চিকিৎসার খরচ যোগান দেয়া অসম্ভব। তাই সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।