ডেস্ক : প্রথম দফায় প্রায় ৩০ হাজার লোকের প্রাণনাশ করে ফ্রান্সে আবারও ভয়ঙ্কর রূপে ফিরেছে করোনাভাইরাস। গত দুই সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। শুক্রবার (২১ আগষ্ট) আক্রান্ত হয়েছিল ৪৫৮৬ এবং মারা গেছে ২৩ জন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২০ আগষ্ট) ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ৪ হাজার ৭৭১ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১২ জন। গেল মে মাসের পর এই প্রথম একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়াল ফ্রান্সে।
এছাড়াও গত বুধবার (১৯ আগষ্ট) ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৭৭৬ জন। মারা গিয়েছিল ১৭ জন। এর আগে ১৭ আগষ্টে ২৪ জন মারা যায়। করোনা গত এক সপ্তাহে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১১৪ জনের।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা পরীক্ষার হারও বাড়ানো হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে দেশজুড়ে ৬ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা। ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সংক্রমণের হার ছিল ৩.৩ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে এ হার ছিল ২.১ শতাংশ। জুলাইয়ের শেষের দিকে এ হার ছিল ১.৫ শতাংশ।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন আক্রান্তদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ কর্মক্ষেত্রে সংক্রমিত হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে মেডিক্যালের কোনো সংযোগ নেই। সরকার বাজেটের ১১ শতাংশ ঘাটতি পূরণ করার জন্য সবাইকে কাজে ফিরতে উৎসাহিত করার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন করে এই সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে।
ইতিমধ্যে ফ্রান্সে করোনার ‘রেড জোন’ হিসেবে রাজধানী প্যারিস এবং মাখসাই শহরকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফ্রান্স পুলিশের পক্ষ থেকে বাইরে গেলে মাস্ক পরার বিষয়টি আরও বাধ্যতামূলক কথা বলা হয়েছে। ১৫ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ফ্রান্সের যেসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় এমন স্থান গুলোতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে ফ্রান্স সরকার।