শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্রা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ (১৫), সাকিব (১৫), সুমন(১৫) নামে ৯ম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থী গোবিন্দগঞ্জ থানা পানিতলার প্রভুরামপুর নামকস্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়। বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ ঘটিকায় গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের পানিতলা বানেশ্বরের মাঝামাঝি প্রভুরামপুরের বেউরগ্রাম রাস্তার তিন মাথ মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায় ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের সোবহানপুর(পোরাবাড়ি) গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে মোটরসাইকেল চালক ও দাড়িদহ ফাজিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র সুমন (১৫) নিহত হয়। একই ইউনিয়নের কুপা গ্রামের শাহজাহান আলী ছেলে আব্দুল্লাহ আমতলী মডেল স্কুলের ৯ম শ্রণীর শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহকে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে নিলে সেও মারা যায়। একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে দাড়িদহ ফাজিল মাদ্রাসরা ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমনকে বগুড়া মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার মারা যায়।
নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকাল ৩টার দিকে সাকিব ও তার খালাতো ভাই সুমনসহ আব্দুল্লাহ একই মোটরসাইকেল যোগে বানেশ্বর সাকিবের খালার বাড়িতে যায়। সেখানে রাত্রি যাপনের পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে খাওয়া দাওয়া শেষ করে তারা বানেশ্বর হতে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির দিকে আসার সময় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা রাজাহার ইউনিয়নের পানিতলা- বানেশ্বরের মাঝামাঝি প্রভুরামপুরে বেউরগ্রাম রাস্তার তিনমাথা মোড়ে পৌছিলে অপর দিক থেকে আসা আর একটি মোটরসাইকেলকে সাইট দিতে গিয়ে মোটরসাইকেলে ব্রেক ফেল করে আব্দুল্লাহ, সাবিক ও সুমন চলন্ত মোটরসাইকেল হতে ছিটকে রাস্তার মাইল পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। তাৎক্ষণিক অপর মোটরসাইকেলের আরোহীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও তাদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল্লাহ ও সুমনকে অহত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আব্দুল্লাহকে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে ও সুমনকে বগুড়া মেডিকেল নেওয়ার পর তাদের মৃত্যু হয় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় গোবিন্দগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর ( তদন্ত)আফজাল হোসেন মুচলিকার মাধ্যমে আব্দুল্লাহ ও সুমনের লাশ হস্তান্তর করেন।
অপর দিকে সাকিবের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছার পর, শিবগঞ্জ থানার পুলিশ নিহতদের লাশ দেখতে আসেন। এসময় ময়দানহট্রা ইউনিয়নের বিট পুলিশের দায়িত্বরত এস আই নাজমুল ও তার সঙ্গীয়ফোর্স আসলে তিনি বলেন, দুর্ঘটনাটি গোবিন্দগঞ্জ থানার মধ্যে তাই আমরা এসেছি দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারদেরকে সমবেদনা জানানোর জন্য।
ইউনিয়নের তিনজন একই সঙ্গে নিহত হওয়ায় হাজার হাজার নারী ও পুরুষ তাদেরকে এক নজর দেখার জন্য এসে ও শোকাহত পরিবারের সঙ্গে তারাও চোখের পানি ছাড়াছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।