বগুড়া-৪ সংসদীয় আসনের নির্বাচনে একেএম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা প্রতীক) নিয়ে ২হাজার ১৩৯ ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা (ঈগল প্রতীকে) ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
গতকাল রোববার রাত ৮টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংসদীয় এই আসনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেন ৬জন প্রার্থী। নন্দীগ্রাম উপজেলায় নৌকা প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৪৮ ভোট ও ঈগল প্রতীকে ১৫ হাজার ৮০৩ ভোট, কাহালু উপজেলায় নৌকা প্রতীকে ১৬ হাজার ৪০৯ ভোট এবং ঈগল প্রতীকে ২৪ হাজার ৮১৫জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশফিকুর রহমান কাজল। তিনি ট্রাক প্রতীকে ৬১৭৮ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙ্গল) ৭২৬ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের প্রার্থী আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন হিরো আলম (ডাব) ২১৭৫ ভোট এবং আওয়ামী লীগের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল ইসলাম মেঘ (কবুতর) ১১৯৫ ভোট পেয়েছেন।
বর্তমান সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হওয়ার পরপরই নন্দীগ্রাম সদরে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বকুল হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু তৌহিদ রাজিবের নেতৃত্বে পৃথক আনন্দ মিছিল বের করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিরতিহীনভাবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও কাহালু উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে বগুড়া-৪ আসন গঠিত। এখানকার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন।