শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় নাগর নদী ভূমি দস্যুদের কবলে পরে সাগরে রুপান্তরিত হয়েছে।
উপজেলার কালাই রাজবাটী ইউনিয়নের শিবতলা শশ্মান ঘাট, মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে শশ্মান,শিবতলা,আবাদী জমি, রাস্তা-ঘাট সহ এলাকার প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র্য ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী থেকে স্কাভেটর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি উত্তোলন এবং ড্রেজার মেশিন প্রতিনিয়ত চলছে বালু উত্তোলন। এতে নদী পরিণত হয়েছে সাগরে। একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী মহল এর সাথে জরিত আছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, এদের ভয়ে এলাকাবাসী কেউ কিছু বলতে পারে না। তিনি বলেন, ইউনিয়নের ঘোনপাড়ার হাসু'র নিয়ন্ত্রণে জাকের, আরমান, কোরমান, নৃপেন, আমিরুল ও দুপচাঁচিয়ার আনিসুর নামক ব্যাক্তিগন এসব মাটি ও বালুর কারবার করে থাকেন।
স্থানিয় জনগন জানান অনতিবিলম্বে বালু ও মাটির কারবার বন্দ না হলে আমরা কৃষিজমি হারাবো সাথে শেষ হয়ে যাবে আমাদের কাহালুর নাগর নদীর জীববৈচিত্র্য।
এখানেই এর শেষ নয়,কাহালুতে যেন মাটিও বালু খেকো চক্রের অভয় অরণ্য। এই শিবতলা শশ্মান থেকে ঠিক দক্ষিণে ঐ নাগর নদীতেই বীরকেদার ইউনিয়নের বোলতলী গ্রামে রাস্তার পাশেই নদীতে একি ভাবে মাটি ও বালু আবিরাম নিয়ে যাচ্ছে এখানে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়াগাজুড়ে চলছে মাটি বালুর রমরমা ব্যবসা। এখানে নদীর মাঝাখানে দাড়িয়ে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে গিয়ে দেখি নদীর দুই কুল যেন পাহাড় সমান উঁচু। এখানেও সেই ঘোনপাড়ার কালাই গ্রামের হাসু সহ শামীম, শাহজাহান, আলামিন, রফিকুল এর প্রভাবশালী দল ভূমি ও মাটি দস্যু এখানে রাজত্ব কায়েম করে আসছে। কাহালু ভূমি কমিশনার তাঁর মুঠোফোনে ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দি দ্রাঃ দুপচাচিয়া ও কাহালুর মাঝদিয়ে বয়ে যাওয়া নাগর নদীর আরও ভয়ংকর মাটি ও বালু খেকো( ভুমিদস্যু) নিউজ আসছে সাথেই থাকুন।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy