বগুড়া শিবগঞ্জের বহুল আলোচিত স্বাধীন হত্যাকান্ড ৫ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি
শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter share
এই বছরের শুরুতে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নে বেলতলী হাফেজিয়া মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের ছাত্র শিশু স্বাধীন হত্যা মামলা আন্ধকারের বেড়াজালে বন্দি।
Surjodoy.com
ছোট শিশু স্বাধীন( ৭) কে শ্বাসরুদ্ধ করে মারা হয়েছে বলে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলা হয়েছে।এমন সচ্ছ রিপোর্ট আসার পরেও মামলাটি কেন অগ্রগতি হচ্ছে না বা কেনো মামলার তদন্তকারী অফিসার প্রায় ৬ মাসেও কোন আসামীকে সনাক্ত করে ধরছেনা এই নিয়ে ভুক্তভোগী স্বাধীনের পরিবার দুঃখ প্রকাশ করেন।
The Daily surjodoy
গত ১৬ই জানুয়ারী সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বেলতলী হাফেজিয়া মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের ছাত্র শেখ স্বাধীন (৭)কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিলো। মাদ্রাসার সংলগ্ন গাংনই নদীর দক্ষিণ তীরে মাদ্রাসা সীমানা প্রাচীরের পার্শ্বে নির্জন জায়গা থেকে ১৭জানুয়ারী সকালে স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সময় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলো শিশু স্বাধীনের বাবা শাহ আলম শেখ।
The Daily surjodoy
সে সময় মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় শিবগঞ্জ থানার এসআই তরিকুল ইসলামকে। সে প্রায় ২মাস মামলাটি তদন্ত করে কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি।
গত ১৪মার্চ বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি বগুড়া সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
বর্তমানে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর ফুয়াদ রুহানি গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় ৩মাস হলো মামলাটি সিআইডিতে এসেছে। আমরা গুরুত্বসহ হত্যা রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। প্রায় ১০জনের কাছ থেকে স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
The Daily surjodoy
এদিকে ৫ মাসেও মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশ হয়ে পরেছে স্বাধীনের পরিবার। এরই মধ্যে আসে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। রির্পোটে বলা হয়েছে, গলাটিপে (শ্বাসরোধ করে) হত্যা করা হয় শিশু স্বাধীনকে।
শিশু স্বাধীনের বাবা শাহ আলম শেখ গণমাধ্যমেকে বলেন, আজও আমার ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছিনা। ময়নাতদন্তের রির্পোট এসেছে। আশা করি সিআইডি এখন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার ছেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।
The Daily surjodoy
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঐ দিন মাগরিবের নামাজ শেষে আমার ছেলে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রদের সাথে মক্তবে পরছিলো। মুহতামিম শহিদুলের অনুমতি নিয়ে আমার ছেলে মাদ্রাসার টয়লেটে যাওয়ার পরপরই মুহতামিম শহিদুলও বের হয়ে যায়। এর প্রায় ১৫মিনিট পরে মুহতামিম শহিদুল মাদ্রাসায় ফেরত আসলেও আমার ছেলে আর ফেরেনি। ঐ দিন সন্ধায় মাদ্রাসার কাজের বুয়া রহিমা রান্না করার জন্য মাদ্রাসায় এসেছিলো এবং ঐ মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ বুলু মিয়া রাত ১০টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলো।
The Daily surjodoy
বর্তমানে ঐ মাদ্রাসাটি বন্ধ আছে এবং মাদরাসার মুহতামিম শহিদুল ইসলাম গাঢাকা দিয়েছে বলে এলাকায় গিয়ে জানাযায়।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy