1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২১, ৪.৩৩ পিএম
  • ৪০৭ বার পঠিত
লেখক সায়মা জাহান সরকার

‘স্বাধীন’ বা ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি আমরা যে অর্থে ব্যবহার করি দু’শো বছর আগে ঠিক সে অর্থে ব্যবহৃত হতো না।যায়হোক,ব্যাপক অর্থে সেই দেশকে প্রকৃত স্বাধীন বলা যেতে পারে, যে দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে স্বাধীনতার আশির্বাদ সহজে পরিলক্ষিত হয়।এই অর্থে স্বাধীন হতে আমাদের বহুযুগ অপেক্ষা করতে হবে।সাধারণ অর্থে ‘স্বাধীন’ মানে রাজনৈতিক স্বাধীনতাকেই বোঝায় আর বাংলাদেশে এ স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বাধীনতার তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছিল কমনওয়েলথে,লাভ করেছিল জাতিসংঘের সদস্যপদ,হয়েছিল ইসলামিক জোট সম্মেলনে সাদরে আমন্ত্রিত, যোগ দিয়েছিল জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্রমন্ডলীর দলে।তৃতীয় বিশ্বের প্রতিনিধিদের মাঝে বাংলাদেশে এসেছিলেন যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট টিটো,মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদত,আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ারি বোমেদিয়ান,সেনেগালের প্রেসিডেন্ট লিওপোল্ড সেনগর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। জাপান থেকে এসেছিল ৪৫ সদস্যের সুবৃহৎ একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল।বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সফরে।বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান ভেঙে বেরিয়ে আসা,যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে নাভিশ্বাস, নবগঠিত দরিদ্র একটি রাষ্ট্রের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই প্রতিষ্ঠাতা লাভ বঙ্গবন্ধুর সফল পররাষ্ট্র নীতিরই পরিচায়ক।
১৯৭৩ সালের আগস্টে কানাডায় অটোয়ায় কমনওয়েলথ সম্মেলন,সেই বছরই সেপ্টেম্বরে আলজিয়ার্সে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলন, সেই বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ পরিষদ আর ১৯৭৫ এর মে মাসে জ্যামাইকার কিংস্টনে কমনওয়েলথ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু রেখেছিলেন তার উপস্থিতির উজ্জ্বল স্বাক্ষর।
১৯৭২ সালে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়াকুব গওন আমাদের কমনওয়েলথ সদস্যপদ লাভের বিরোধী ছিলেন।তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভকে বায়াফ্রার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে বলে ভীত-সন্ত্রস্ত ছিলেন।জেনারেল ইয়াকুব গওন বঙ্গবন্ধুকে একটি অপ্রকাশিত প্রশ্ন করেন,’আচ্ছা বলুন তো,অবিভক্ত পাকিস্তান ছিল একটি শক্তিশালী দেশ।কেন আপনি সেই দেশটিকে ভেঙে দিতে গেলেন?
হো হো করে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ হাসিতে নীরবতা ভাঙ্গলেন বঙ্গবন্ধু। ওই হাসির ফাঁকেই উত্তরটি ঠিক করে নেন।তিনি তর্জনী সংকেতে গম্ভীরভাবে বল্লেন, ‘শুনুন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি। আপনার কথায় হয়তো ঠিক।অবিভক্ত পাকিস্তান হয়তো শক্তিশালী ছিলো।তার চেয়েও শক্তিশালী ছিলো হয়তো অবিভক্ত ভারত।কিন্তু সেসবের চেয়ে শক্তিশালী হতো সংঘবদ্ধ এশিয়া,আর মহাশক্তিশালী হতো একজোট এই বিশ্বটি।কিন্তু, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সবকিছু চাইলেই কী পাওয়া যায়?
কথাটি বলেই তিনি তাঁর গলার সাদা চাদরটি হাতে নিয়ে তুলে দিলেন প্রেসিডেন্ট গওনের হাতে।তিনি বল্লেন, ‘এই নিন, বাংলাদেশের জনগণের তরফ থেকে আমার এই ক্ষুদ্র উপহার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews