তৌহিদ আহমেদ রেজা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। একটি ইতিহাস। শতবছর আগে ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন; তিনি গর্জে উঠেন ৭ মার্চ; সেই গর্জনেই অর্জন ১৬ ডিসেম্বর। পৃথিবীর বুকে জন্ম নিল স্বাধীন এক দেশ। যার নাম বাংলাদেশ। একজন বঙ্গবন্ধু; একটাই বাংলাদেশ। তার মেধা, প্রজ্ঞা, সততা, সাহস সর্বোপরি দেশপ্রেমেই জন্ম হয় বাংলাদেশের।
১৯৪৭ সাল। ব্রিটিশদের প্ররোচনায় উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মীয় বিভাজনের সীমারেখায় ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির নেশায় মত্ত ছিল। ব্যতিক্রম ছিলেন একজন মানুষ; শেখ মুজিবুর রহমান। মুসলিম লীগের তৎকালীন প্রগতিশীল ধারার তরুণ এই নেতা ২৭ বছর বয়সী শেখ মুজিব দুই বাংলার বাঙালিদের নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করেন।
তীব্র জনমতের মুখে বেঙ্গল মুসলিম ওয়ার্কিং কমিটি এক ঐতিহাসিক ফর্মুলা সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে। জনসাধারণের ভোটে একটা গণপরিষদ হবে। সেই গণপরিষদ ঠিক করবে বাংলাদেশ হিন্দুস্থান না পাকিস্তানে যোগদান করবে, নাকি স্বাধীন থাকবে?
১৯৪৭ সালে এই ফর্মুলা নিয়ে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বাঙালি নেতা শরৎ চন্দ্র বসু দিল্লিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ও জহরলাল নেহেরুর সাথে দেখা করতে যান। শরৎ বসু কংগ্রেসের নেতাদের সাথে দেখা করতে গিয়ে অপমানিত হয়ে ফিরে এসেছিলেন।
কংগ্রেস আর মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর যোগসাজশে ১৯৪৭ সালে যুবক শেখ মুজিবের স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করেছিলেন ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে। মহাসংগ্রামী আর দীর্ঘ ছিল সে পথচলা।
স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনে তরুণ বাঙালি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি শেখ মুজিব গঠন করলেন ছাত্রলীগ নামের এক অপরাজেয় ছাত্রসংগঠন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জন্ম নেয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। কারাগারে বন্দী ২৯ বছরের শেখ মুজিবকে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর যত সময় গেছে, শেখ মুজিব হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের প্রাণ। ভাষা আন্দোলনের কঠিন সময়ে কারাগারে বন্দী শেখ মুজিবই ছিলেন নেতা-কর্মীদের প্রাণপুরুষ।
১৯৫৩ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামী মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয় এবং শেখ মুজিবকে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৫৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও ভিলেজ-এইড দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় শেখ মুজিবকে। তবে বাঙালি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৫৭ সালে ৩০ মে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
১৯৬৩ সালে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরায় সংহত করার উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবকে দলের মহাসচিব করা হয়।
১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি পেশ করেন তিনি, যা ছিল কার্যত পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের পরিপূর্ণ রূপরেখা। শেখ মুজিব এই দাবিকে ‘আমাদের বাঁচার দাবি’ শিরোনামে প্রচার করেছিলেন। প্রস্তাবিত ৬ দফা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।
১৯৬৬ সালে মার্চ মাসের এক তারিখে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনের পর তিনি ছয় দফার পক্ষে সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রচার কার্য পরিচালনা করেন। প্রায় পুরো দেশই ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণের সময় তিনি সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকায় বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে বন্দী হন। বছরের প্রথম চতুর্থাংশেই তাকে আটবার আটক করা হয়েছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ১৯৬৮ সালের পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবকে ১ নম্বর আসামী করে ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’করে। সাথে আসামী করা হয় ৩৫ জন সামরিক ও সিএসপি কর্মকর্তাকে। পুরো দেশ জুড়ে তীব্র গণআন্দোলন শুরু হয়। অবশেষে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জনগণের অব্যাহত চাপের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার শেখ মুজিবসহ সকল আসামীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে প্রায় ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জয় বাংলা স্লোগানে শেখ মুজিবুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ববাংলার আনুষ্ঠানিক নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’। ১৯৭০ সালের ৬ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পুনরায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার আগে বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিলেন জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে আওয়ামী লীগ। ১৭ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু তার দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘নৌকা’ প্রতীক পছন্দ করেন।
৭ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি রেসকোর্সের জনসভায় বঙ্গবন্ধু ৬ দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র রচনা এবং জনগণের প্রতি অনুগত থাকার শপথ গ্রহণ করেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ২৮ জানুয়ারি আলোচনার কথা বলে ঢাকায় আসেন। তিন দিন বৈঠক চলার পর আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়। ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু এক বিবৃতিতে ভুট্টোর দাবির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ভুট্টো সাহেবের দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ক্ষমতার মালিক এখন পূর্ব বাংলার জনগণ।
১ মার্চ ইয়াহিয়া খান অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের বৈঠক স্থগিতের ঘোষণা দিলে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ কার্যকরী পরিষদের জরুরী বৈঠকে ৩ মার্চ দেশব্যাপী হরতাল আহবান করা হয়।
৭ মার্চের আগেও নানা ভাষণে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য আলাদা রাষ্ট্র কায়েমের কথা বলেছেন। ৭ মার্চ সারাদেশে টানটান উত্তেজনা। দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে কখন তাদের নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জনের স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ঢাকার তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তার এ ঘোষণায় উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত জাতি স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কৌশলে বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই মূলত পূর্ব বাংলায় বঙ্গবন্ধুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। সাত মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই ঐতিহাসিক ৬ দফা মূলত স্বাধীনতার এক দফায় রূপান্তরিত হয়। অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা, টেলিভিশন, বেতারসহ সমস্ত দফতর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পরিচালিত হতে থাকে।
পাকিস্তানীরা বুঝে যায়, পূর্ব পাকিস্তান তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। বাঙালির নাম ও নিশানা মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে গোপনে সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করে ইয়াহিয়া সরকার। বাঙালি অফিসারদের কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে এনে পাকিস্তানী অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ সব পদে বসানো হয়। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসতে থাকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সৈন্য।
ততদিনে ইতিহাসের বৃহত্তম আত্মত্যাগ করার জন্য বাঙ্গালি জাতিকে প্রস্তুত করে ফেলেছেন বঙ্গবন্ধু। ২৩ মার্চ ভোরে পাকিস্তান দিবসে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে তার বাসভবনে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে দেন। এটা ছিল সেই পতাকা যা বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের জুন মাসে পল্টন ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে জয় বাংলা বাহিনীর হাতে গচ্ছিত রেখেছিলেন। ২৩ মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় ‘জয় বাংলা’ বাহিনীর কুচকাওয়াজ। কুচকাওয়াজ শেষে বঙ্গবন্ধু তার বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হাতে গার্ড অব অনার প্রদানকারী দলের সালাম গ্রহণ করেন। এদিকে ইয়াহিয়া খান আর বঙ্গবন্ধুর মধ্যে কয়েক দফা আলোচনাও হয়। বঙ্গবন্ধু নিজে থেকে আলোচনা ভেঙে দেন নি। কারণ, তিনি বল ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের হাতে।
২৫ মার্চ রাত ৮ টায় ইয়াহিয়া খান গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। যাওয়ার আগে নির্দেশ দিয়ে যান গণহত্যা শুরু করার। রাত সাড়ে এগারটায় পাকিস্তানী সেনারা ঢাকাবাসীর উপর বর্বর হামলা শুরু করে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনা হামলা শুরুর প্রায় সাথে সাথেই স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়ে দেন। ইংরেজিতে লেখা এ ঘোষণাটি ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ দলিলপত্র’-৩য় খণ্ডের প্রথম পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা আছে। ওয়্যারলেস, টেলিফোন ও টেলিগ্রাম দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রচার করা হয়।
স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর বঙ্গবন্ধু আরেকটি বার্তা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর এই বার্তা তাৎক্ষণিকভাবে সারাদেশে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানো হয়। সর্বস্তরের জনগণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও যশোর সেনানিবাসে বাঙালি সৈন্য ও অফিসাররা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১.৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ধানমণ্ডির ৩২ নং বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে সেনানিবাসে নিয়ে যায় এবং এর তিন দিন পর তাকে বন্দি অবস্থায় পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া হয়।
১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়। এই মুজিবনগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর এই এক স্বপ্ন, বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এ জন্যই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে বুক চিরে বেরিয়ে আসা কথাগুলো এভাবেই বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, ‘আমি আজ বাংলার মানুষকে দেখলাম, বাংলার মাটিকে দেখলাম, বাংলার আকাশকে দেখলাম, বাংলার আবহাওয়াকে অনুভব করলাম। বাংলাকে আমি সালাম জানাই, ‘আমার সোনার বাংলা, তোমায় আমি বড় ভালোবাসি বোধ হয় তার জন্যই আমায় ডেকে নিয়ে এসেছে।’
বঙ্গবন্ধুর চোখে তখন ভেসেছিল সাড়ে সাত কোটি বাংলার মানুষ। একটি বাংলাদেশ। এ জন্যই জন্মের শত বছর পরেও তিনি তার আদর্শে আজও ভাস্বর হয়ে আছেন এই বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে। ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে।