উপজেলা জুড়ে প্রকাশ্যে তিন ফসলি জমিতে মাটি খননের বিষয়টি অবৈধ হলেও নীরব স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমন জিহাদী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন কে বারবার জানিয়েও প্রশাসনিক কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এসেছে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়ের নিকট।
The Daily surjodoy
স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখতে পায়, এ উপজেলায় এ বছর প্রায় ২০ থেকে ৩০ টিরও বেশি তিন ফসলি জমিতে এস্কেলেটর (ভেকু) মেশিন দ্বারা পুকুর খনন করে সেসব মাটি গুলো মেসি ট্র্যাক্টর দ্বারা চড়া দামে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা গুলোতে বিক্রি করছে অসাধু কিছু মাটি ব্যবসায়ীরা। মাটি বহনকারী মেশি ট্র্যাক্টের ফলে নষ্ট হচ্ছে সরকারের নবনির্মিত রাস্তাগুলোসহ ধুলোবালিতে পরিবেশ এমনকি এ বর্ষায় রাস্তা ঘাটসহ পাশের তিন ফসলি জমি গুলোও খননকৃত পুকুরের সাথে বিলীন হওয়ার আশংকাও রয়েছে।
The Daily surjodoy
এছাড়াও একই ইউপির বিষয়ে জানা যায় অনেক জায়গায় দুই ও তিন ফসলি জমিতে নতুন পুকুর খনন করে সেসবের মাটিও বিক্রি করছিল বদলগাছীর উপজেলার মিঠাপুর ইউপির কসবা গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী লালচান তার ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছিল স্থানীয় প্রভাবশালী খাদাইল গ্রামে রাস্তার পার্শে অবস্থিত প্রভাবশালী ইটভাটা মালিক আইয়ুব সরকার ও মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের ইটভাটায়। মাটি বিক্রয় করা হচ্ছে এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে থেকেই গত ৮ জুন বিকেল তিনটার সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে তার মুঠোফোনে কল করে জানালেও তিনি কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
The Daily surjodoy
এমনকি এর আগেও উপজেলার জালালপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন মাস্টারের ফসলি জমিতে খননকৃত পুকুরের মাটি,কোলা ইউপির কেশাইল গ্রামের কাজল ডাক্তারের খননকৃত পুকুরের মাটি, বালুপাড়া গ্রামের গণেশ ডাক্তারের পুকুরসহ আরও বেশ কয়েকটি পুকুর খনন করে ই্টভাটায় মাটি বিক্রিয়ের তথ্যটি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রকার সুফল পায়নি স্থানীয় সচেতন অসংখ্য কৃষক মহলসহ সাংবাদিকরা।স্থানীয় প্রশাসনের এমন নীরব ভূমিকার ফলে এ উপজেলার মানুষ তিন ফসলি জমিতে মাটি কাটতে ব্যাপক উৎসাহিত হতে যাচ্ছে এভাবে চললে চরম হুমকির মুখে পড়তে হবে উপজেলাবাসীকে ।
The Daily surjodoy
এমন অভিযোগের বিষয়টি জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়ের নিকট উপজেলার বেশকিছু সাংবাদিকরা অবগত করলে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় গোপনে জরিপ চালিয়ে জানতে পারে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় তিন ফসলি জমিতে মাটি কাটার বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর বন্ধ হয় তিন ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব আর সেসব অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা বদলগাছীর উপজেলাটি আক্কেলপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা হওয়াই। এই উপজেলার মাটি খেকো অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা বদলগাছীতে প্রবেশ করে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে সরলসাদা কৃষকদের মোটা অর্থের লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে দেদারচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে তিন ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব।
The Daily surjodoy
অভিযোগে আরও পাওয়া যায় যে উপজেলাতে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে সাংবাদিকরা উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) সুমন জিহাদীকে মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে,ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের বলেন আপনারা সাংবাদিককে ম্যানেজ করে মাটি কাটতে পারেন না, তারা বারবার অফিসে ফোন দিয়ে অভিযোগ করছে। যাই হোক আপনারা সাংবাদিকদের ম্যানেজ না করতে পারলে আমরা দ্রুত মাটি কাটার কাজ বন্ধ করার ব্যবস্থা করবো।
The Daily surjodoy
পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখছি এই বলে সাংবাদিকদের কল কেটে দেন।
The Daily surjodoy
সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের বিষয়টি খটিয়ে দেখতে বদলগাছী উপজেলাতে ইতিমধ্যে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় অনুসন্ধানে নেমেছে। সকল তথ্যসহ বিস্তারিত আসছে---- জানতে জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় চোখ রাখুন।